সোমবার দুপুরে কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে খাসিয়াদের সহযোগিতায় আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিলেটের পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, বিকাল ৫টায় সিলেটে সংবাদ সম্মেলন করে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে পুলিশের পক্ষ থেকে।
হেফাজতে নিহত রায়হান আহমদ (৩৩) সিলেট মহানগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়া এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি স্টেডিয়াম মার্কেট এলাকায় এক চিকিৎসকের চেম্বারে সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে রায়হানের মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে প্রথমে প্রচার করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। তবে বিকালে পরিবারের বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনা অন্যদিকে মোড় নেয়।
নিহতের পরিবার দাবি করে, সিলেট মহানগর পুলিশের বন্দর বাজার ফাঁড়িতে পুলিশের নির্যাতনে রায়হানের মৃত্যু হয়েছে।
সেদিন রাত আড়াইটার দিকে পুলিশের বিরুদ্ধে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নি।
পরদিন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (উত্তর) শাহরিয়ার আল মামুনকে প্রধান করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিলেট মহানগর পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশ হেফাজতে রায়হানের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা পায় ওই তদন্ত কমিটি।
কমিটি জানতে পারে, সেদিন ভোর ৩টার দিকে অটোরিকশায় করে রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে নেওয়া হয়। সেখানে ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়ার নেতৃত্বেই তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।
নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সকাল সাড়ে ৬টার দিকে রায়হানকে ওসমানী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৭টার দিকে মারা যান তিনি।
এদিকে পুলিশ হেফাজতে রায়হান উদ্দিনের মৃত্যু এবং নির্যাতনের প্রাথমিক সত্যতা মেলার পর গত ১৩ অক্টোবর পুলিশ সদর দপ্তরের নির্দেশে মামলাটির তদন্তভার পায় পিবিআই।
পরের দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবর আদালতের নির্দেশে সিলেট জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব আহমেদ ও মেজবাহ উদ্দিনের উপস্থিতিতে লাশ তুলে পুনরায় ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।