বগুড়ায় জমে উঠেছে পিঠাবাজার

শীতের আমেজে জমে উঠেছে বগুড়া শহরের বিভিন্ন এলাকার পিঠাবাজার।

জিয়া শাহীন বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Nov 2020, 06:16 PM
Updated : 8 Nov 2020, 06:16 PM

গত তিন দিন শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে বগুড়ায়। মানুষও ভিড় করছে পিঠাবাজারগুলোয়।

বগুড়ার আন্তর্জাতিক শহীদ চান্দু  ক্রিকেট স্টেডিডিয়াম সংলগ্ন কারমাইকেল রোড, শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা ও তার আশপাশে সন্ধ্যার পর পিঠে খেতে আসে মানুষের ভিড় দেখা গেছে রোববার সন্ধ্যায়।

ইদ্রিস বেপারী নামে একজন পিঠা বিক্রেতা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০ বছর ধরে তিনি শীতে পিঠা বিক্রি করছেন কারমাইকেল রোডে। প্রতিদিন এক-দেড় হাজার টাকা লাভ হয়।

“কুশলী পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, ভাঁপা পিঠা, তেল পিঠা তৈরি হয় এসব পিঠাবাজারে। গরম পিঠা খেতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে লোকজন।”

পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে ইদ্রিস তার দোকান চালান বলে তিনি জানান।

ওই বাজারের ভাঁপা পিঠা বিক্রেতা রাজিব বলেন,  তার চাচা ইউসুফ আলী প্রায় ২৫ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করতেন৷

“গত বছর চাচার মৃত্যুর পর এখন আমি বিক্রি করছি। নর্মাল ও স্পেশাল—এই দুই ধরনের ভাপা পিঠা বিক্রি করছি আমি। নর্মালটার দাম ১০ টাকা। স্পেশাল ২০ টাকা। প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার টাকার পিঠা বিক্রি হয়।”

সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে এক হাজার টাকার বেশি লাভ হয় বলে তিনি জানান।

পিঠা কিনতে আসা শহরের মালতি নগরের রোশনী আখতার বলেন, “শীত পড়ার পর দুই দিন এসে ঘুরে গেছি।  পিঠাবাজার বসেনি। দুধপিঠা খাবে বাচ্চারা। তাই সাদা চিতই পিঠা কিনতে এসেছি। বাসায় চিতই পিঠা বানানো ঝামেলা। আমার মত অনেকেই সাদা চিতই কিনে বাসায় দুধে রেখে দুধপিঠা করে থাকে।”

শহরের সূত্রাপুরের গৃহবধূ সাবরিনা এসেছিলেন তিন সন্তান নিয়ে। তিনি প্রতিবছর পিঠাবাজারে পিঠা খেতে আসেন বলে জানান।