গত তিন দিন শীতের আমেজ দেখা যাচ্ছে বগুড়ায়। মানুষও ভিড় করছে পিঠাবাজারগুলোয়।
বগুড়ার আন্তর্জাতিক শহীদ চান্দু ক্রিকেট স্টেডিডিয়াম সংলগ্ন কারমাইকেল রোড, শহরের জিরো পয়েন্ট সাতমাথা ও তার আশপাশে সন্ধ্যার পর পিঠে খেতে আসে মানুষের ভিড় দেখা গেছে রোববার সন্ধ্যায়।
“কুশলী পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, ভাঁপা পিঠা, তেল পিঠা তৈরি হয় এসব পিঠাবাজারে। গরম পিঠা খেতে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসে লোকজন।”
পাঁচজন কর্মচারী নিয়ে ইদ্রিস তার দোকান চালান বলে তিনি জানান।
ওই বাজারের ভাঁপা পিঠা বিক্রেতা রাজিব বলেন, তার চাচা ইউসুফ আলী প্রায় ২৫ বছর ধরে পিঠা বিক্রি করতেন৷
সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত পিঠা বিক্রি করে এক হাজার টাকার বেশি লাভ হয় বলে তিনি জানান।
পিঠা কিনতে আসা শহরের মালতি নগরের রোশনী আখতার বলেন, “শীত পড়ার পর দুই দিন এসে ঘুরে গেছি। পিঠাবাজার বসেনি। দুধপিঠা খাবে বাচ্চারা। তাই সাদা চিতই পিঠা কিনতে এসেছি। বাসায় চিতই পিঠা বানানো ঝামেলা। আমার মত অনেকেই সাদা চিতই কিনে বাসায় দুধে রেখে দুধপিঠা করে থাকে।”
শহরের সূত্রাপুরের গৃহবধূ সাবরিনা এসেছিলেন তিন সন্তান নিয়ে। তিনি প্রতিবছর পিঠাবাজারে পিঠা খেতে আসেন বলে জানান।