রোববার বেলা ১১টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত নগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ মানববন্ধনে একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
মানববন্ধনে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন।
২০১৪ সাল থেকে রাজশাহী শাহ্ মখদুম মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থী ভর্তি শুরু হয়। বর্তমানে সাতটি ব্যাচে ২২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
তবে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ কলেজে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি বন্ধ করার এবং কলেজের শিক্ষার্থীদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধীনস্ত অন্য বেসরকারি কলেজে মাইগ্রেশনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেয়।
এই মাইগ্রেশন দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে এই আন্দোলন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থী শাকিলা দিল আফরোজ মিষ্টি বলেন, আমাদের এইচএসসি শেষে অভিভাবকরা অনেক কষ্ট করে লাখ লাখ টাকা দিয়ে এই মেডিকেল কলেজে ভর্তি করেছেন। প্রতি বছর কলেজ কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ টাকা নিয়েছে।
“এ টাকা দিতে কেউ জমি বিক্রি করেছেন, কেউ সারা জীবনের জমানো টাকা দিয়েছেন। এখন কলেজ কর্তৃপক্ষ আমাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে।”
আরেক শিক্ষার্থী রিয়াজুল হাসান বলেন, আমরা ডাক্তারি পড়ি মানুষের সেবা করার জন্য কিন্তু এ প্রতিষ্ঠান আমাদের যে শিক্ষা দিচ্ছে তা মানুষ মারার জন্য।
নিশাত তাসনিম বলেন, প্রথম দুই ব্যাচ অল্প টাকায় ভর্তি নিয়েছে। তারপর থেকে পুরো টাকা নেয় ভর্তির জন্য।
ভর্তির পর এতগুলো বছর পার হলেও সমস্যা সমাধান করেনি কর্তপক্ষ। তারা আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছে। এ অবস্থার মধ্যে এই কলেজের লেখাপড়া করা সম্ভব নয় বলেন তিনি।
গোলাম ফারুক বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া বন্ধের নির্দেশনার পর শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের টনক নড়েছে।
ওই সিদ্ধান্ত বাতিলের জন্য তারা গভীর রাতে শিক্ষার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর নিচ্ছেন জানিয়ে তিনি আরো বলেন, শিক্ষাথীদের অভিভাবকদের বিভিন্ন কথা বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেওয়া হচ্ছে কিন্তু এ কলেজে শিক্ষার কোনো পরিবেশ নাই বলে দাবি করেন তিনি।