পাপনের বোন পাপিয়া চৌধুরী মঙ্গলবার দুপুরে ভোলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেন।
পাপিয়া বলেন, “২০১৬ সালে বাবার মৃত্যুর পর তার সম্পত্তির ওয়ারিশ হন মা, আমি ও পাপন। পাপন ক্ষমতা দেখিয়ে আমাকে বাদ দিয়ে ওয়ারিশনামা বানান এবং সম্পত্তি বিক্রি করেন। প্রতিবাদ করলে পাপন নিজে ও বহিরাগতদের দিয়ে আমার ও আমার স্বামীর ওপর হামলা করেন। আমাদের মারধর করেন। এখন পাপন আমাদের মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছেন।
“ওয়ারিশ সনদে আমার নাম বাদ দেওয়ার বিষয়টি আমি ভোলা-১ আসনের সংসদ সদস্য তোফায়েল আহমেদেকে জানাই। তার সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপে ওয়ারিশ সনদে আমার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এই খবর শুনে পাপন আমার শহরের কালীবাড়ী রোডের বাসায় লোকজন নিয়ে এসে আমাকে মারধর করেন এবং ৫৫ হাজার টাকা ও এক ভরি ওজনের সোনার চেইন ছিনতাই করে নিয়ে যান। আমার স্বামীসহ পরিবারের সকলকে হুমকি দিয়ে আসেন পাপন। এ ঘটনায় আমি ভোলা সদর থানায় মামলা করেছি।”
পাপন এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন। আমি আমার বোনের কিংবা পরিপারের কোনো জমি আত্মসাত কিংবা বিক্রি করিনি। বোনের নাম ওয়ারিশ সনদে বাদ দিইনি। রাজনৈতিক কারণে আমার বোনকে ব্যবহার করে একটি মহল আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।”
পারিবারিকভাবে দ্বন্দ্ব মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন ভোলা থানার ওসি এনায়েত হোসেন।