মঙ্গলবার সকালে সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের নীলকণ্ঠপুর গ্রামের এক পুকুরপাড়ের গাছে ওড়না গলায় পেচানো অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত আবিদ হোসেন বাবু (২৬) কালিগঞ্জ উপজেলার নীলকণ্ঠপুর গ্রামের আব্দুর রহিম মোল্লার ছেলে।
কালিগঞ্জ থানার ওসি দেলোয়ার হুসেন জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ইটভাটা শ্রমিক আবিদ হোসেন বাবুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
“বাবুর ডান হাঁটু, দুই পায়ের নখসহ কয়েকটি স্থানে দৃশ্যমান জখমের চিহ্ন রয়েছে।”
আবিদকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর লাশ গাছের ডালে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, জমি নিয়ে তার আত্মীয়ের মধ্যে বিরোধ ছিল। সেই বিরোধে জেরে ঘটনাটি ঘটেছে কি না তা তদন্ত করছে পুলিশ।
লাশের ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আবিদ হোসেন বাবুর মা হোসনে আরা খাতুন বলেন, “বাবুর আপন শ্যালক আরিফুল ইসলামের সঙ্গে তাদের সৎ ভাই নুরুল মোড়ল ও ভরুরের সঙ্গে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
“সোমবার ওই জমি মাপার জন্য জরিপও হয়। জরিপের সময় বাবু তার শ্যালক আরিফুলের পক্ষ নেয়। জরিপ চলাকালে দু’পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।”
তিনি জানান, সেদিন সন্ধ্যার পর নুরুল মোড়ল তার মোটরসাইকেলে করে বাবুকে নিয়ে বিষ্ণুপুর বাজারে যান। গভীর রাতে তারা বাড়ি ফেরেন।
সকালে প্রতিবেশী আবু সামাদ ও আব্দুল গফফার কাঁকড়া কিনতে যাওয়ার সময় বাবুর ঝুলন্ত লাশ দেখতে পেয়ে তাদেরকে জানান বলেন তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান থানায় যোগাযোগ করতে না পেরে ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে উপ-পরিদর্শক জিয়ারত আলী ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করেন।