তিনি হলেন- উলিপুর উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার (৪৫)।
স্থানীয়রা জানান, বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের দোলন গ্রামের ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া ওই শিক্ষার্থীর সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।পরে মেয়েটির পরিবারকে আর্থিক সহায়তার প্রলোভন দেখিয়ে ওই কিশোরীকে বিয়ে করেন চেয়ারম্যান।
এদিকে চেয়ারম্যানের তৃতীয় বিয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ছড়িয়ে পড়ায় এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার ঝড় উঠে। সদ্য নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে বাল্যবিয়ে করলেও প্রশাসন কোন আইনগত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে স্থানীয়রা।
বকসীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুজ্জামান বলেন, “ওই শিক্ষার্থী আমার স্কুলের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী।বিয়ে হবার কথাটি আমি বিভিন্ন লোক মুখে শুনেছি; এখন আমাদের আর কিছুই করার নাই।”
উলিপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “যেহেতু বিয়ে হয়ে গেছে, তাই এখন আর ব্যবস্থা গ্রহণ করার সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।“
তবে কুড়িগ্রাম জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন বলছেন, “কেউ আইনের উর্দ্ধে নয়। বাল্য বিয়ে করা একটা অপরাধ। বিয়ে হয়ে গেলেও আইনগত ব্যবস্থা নেওবার সুযোগ রয়েছে।”
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।