সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারির পাশাপাশি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাসহ বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার সব মন্দিরে র্যাব ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া মুরাদনগরে পূর্ব ধউর (পূর্ব) ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের বাড়িসহ চারটি বাড়িতে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় প্রায় ২৫০ জনের নাম উল্লেখ করে, আরও পাঁচ শতাধিক ব্যক্তিকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি দেখিয়ে পুলিশ তিনটি মামলা করেছে বলে জানিয়েছেন বাঙ্গরা থানার ওসি কামরুজ্জামান।
এদিকে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বাড়িতে ভাংচুর ও আগুন ধরানোর ঘটনায় জড়িত থাকায় সোমবার দুপুরে পাঁচজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
তাদের মধ্যে হেলালউদ্দিন ও মো. এরশাদের এক বছর এবং শানু মিয়া, এনু মিয়া ও বাবু মিয়াকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফেইসবুকে ধর্ম অবমাননার গুজবে গত শনিবার রাত থেকে কুরবানপুর গ্রামে একদল লোক বিক্ষোভে নামে, যা রোববারও চলতে থাকে। এরই মধ্যে ওই বাড়িগুলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
ফরাসি সাময়িকীতে হজরত মুহাম্মদকে (সা.) নিয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকে কেন্দ্র করে বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশে ক্ষোভ চলছে।
তার মধ্যে মুরাদনগরের ওই গ্রামে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের একজন সেই কার্টুন সমর্থন করে ফেইসবুক কথা বলেছেন।
স্থানীয়দের কাছে ফেইসবুকের যে স্ক্রিনশটটি ছড়িয়েছে, তাতে দেখা যায় ফ্রান্স প্রবাসী ওই ব্যক্তি একটি পোস্টে লিখেছেন, “ফরাসি প্রেসিডেন্ট যে সব অমানবিক চিন্তাভাবনাকে শায়েস্তা করার যে উদ্যোগ নিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।” তার তাতে কুরবানপুরের ওই ব্যক্তি মন্তব্য লিখেছেন-‘স্বাগতম প্রেসিডেন্টের উদ্যোগকে’।
এ কথোপকথন ধরেই গুজব ডালপালা মেলে, আর তা থেকে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তারের পরও পূর্ব ধইর (পূর্ব) ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বনকুমার শিবের বাড়িসহ কয়েকটি বাড়িতে হামলা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জর ডিআইজি আনোয়ার হোসেন, পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম সোমাবার সকাল সাড়ে ১০টায় এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।