শনবিার রাতে উপজেলার সাহাপুর ইউনয়িনরে আওতাপাড়া গ্রামে ২০ বছর বয়সী এই গৃহবধূর মৃত্যু হয়।
রোববার ঈশ্বরদী থানায় মেয়েটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন।
আসামিরা হলেন উপজেলার আওতাপাড়া গ্রামের হারুন প্রামাণকিরে ছেলে জাহিদ হোসেন (২৫), জাহিদের মা মরিয়ম বেগম (৫০), ভাই মকলেছুর রহমান (৩২) ও ভাবি রেশমা খাতুন (২৮)।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, গত বছর ২৫ জানুয়ারি সাহাপুর ইউনয়িনরে চরআওতাপাড়া গ্রামরে ২০ বছর বয়সী এই মেয়ের সঙ্গে জাহিদ হোসেনের বিয়ে হয়।
মামলার বাদী এজাহারে বলেন, বিয়ের পর থেকে যৌতুকরে জন্য তার মেয়েকে প্রায়ই মারধর করতের স্বামী জাহিদ। তখন মেয়ের সুখের কথা ভেবে জাহিদকে নগদ তিন লাখ টাকা এবং এক লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোটরসাইকেল কিনে দেন। এরপর আরও নগদ আড়াই লাখ টাকার জন্য মেয়ের উপর শারীরিক নির্যাতন চালান জাহিদ।
প্রতিবেশীর বরাতে এজাহারে অভিযোগ করা হয়, শনিবার সন্ধ্যায় টাকার জন্য বাদীর মেয়ের উপর নির্যাতন শুরু করেন জাহিদ। এই সময় অন্য আসামিদের সহায়তায় পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে মেয়েকে হত্যা করেন তার স্বামী। পরে লাশ ফেলে পালিয়ে যায় বাড়ির সবাই।
পরে প্রতিবেশীর কাছে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন বলে মামলায় বলা হয়।
এলাকাবাসী জানান, এই দম্পতির সাত মাস বয়সী একটি মেয়ে আছে। জাহিদ রুপপুর পারমাণবকি বিদুৎ কন্দ্রের একটি ঠিকাদারি প্রতষ্ঠিানে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত আছেন।
নিহত গৃহবধূর এক খালা বলনে, শুধু যৌতুকের বিষয়ই নয়, জাহিদের অন্য মেয়ের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কও রয়েছে। এই কারণে প্রায়ই স্ত্রীর সঙ্গে তার ঝগড়া-বিবাদ হতো।
ঈশ্বরদী থানার ওসি শেখ নাসির উদ্দিন জানান, লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর লাশের ময়নাতদন্তর জন্য পাবনা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।