শনিবার বিকেল থেকে তারা এই কর্মবিরতি শুরু করেন বলে জানিয়েছেন শেরই বাংলা মেডিকেল কলেজ ইন্টার্ন ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সজল পাণ্ডে।
তিনি বলেন, “মেডিসিন বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুদ খান ইন্টার্ন চিকিৎসকদের নাম ভাঙিয়ে বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে কমিশন নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের কক্ষে তালা দেওয়া, জুনিয়র চিকিৎসক, নারী চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে অশালীন আচরণ করে থাকেন তিনি।
“এর প্রতিকার চেয়ে হাসপাতাল পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। উল্টো মারধরের মিথ্যা অভিযোগ এনে আমাকে ও সাধারণ সম্পাদকের নাম উল্লেখ করে আট-দশজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করেছে মাসুদ খান। তাই বাধ্য হয়ে কর্মবিরতির ডাক দিতে হয়েছে।”
হাসপাতাল পরিচালক বাকির হোসেন এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন।
বাকির বলেন, গত সপ্তাহে মাসুদ খান ও ইন্টার্ন চিকিৎসক উভয় পক্ষ থেকে আলাদা অভিযোগ এসেছে। অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি বলেন, “ইন্টার্ন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার বিষয়ে আমি নিজে থানায় গিয়ে ওসির সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে আমরা একটি সমাধানের পথ খুঁজে বের করছি। কিন্তু ইন্টার্নরা আমাকে কোনো সময় না দিয়েই কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন।”