বৃহস্পতিবার রাতে কটিয়াদীর বনগ্রাম ইউনিয়নের জমশাইট গ্রাম থেকে প্রয়াত মীর হোসেনের ছেলে আসাদ মিয়া (৫৫), তার স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪৫) ও তাদের আট বছর বয়সী ছেলে লিয়নের মাটিচাপা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এই ঘটনায় আসাদের ছোটো ভাই দীন ইসলাম, মা জুমেলা বেগম, বোন নাজমা ও ভাগ্নে আল-আমিনকে বৃহস্পতিবার রাতেই আটক করেছে।
বাকি পাঁচ আসামি সবাই তাদের নিকটাত্মীয় বলে জানালেও ওসি তাদের নাম প্রকাশ করেননি।
আসাদের আরেক ছেলে বাদী হয়ে শুক্রবার কটিয়াদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন নয় জনকে আসামি করে।
কটিয়াদী থানার ওসি এম এ জলিল জানান, নিহত দম্পতির ছেলে তোফাজ্জল হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।
ওসি বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে নিহত আসাদের ভাই দীন ইসলাম জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। জমিজমা ও পারিবারিক বিরোধ নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে জানায় দীন ইসলাম।
বৃহস্পতিবার গভীর রাতে পুলিশ দীন ইসলামকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত শাবলটি উদ্ধার করে বলে ওসি জানান।
ওসি জানান, নিহত আসাদ মিয়া জমশাইট বাজারের ব্যবসায়ী। তাদের তিন ছেলের মধ্যে অপর দুজন হলেন মোফাজ্জল (২৫) ও তোফাজ্জল (১৩)। ওইদিন বাড়ি না থাকায় তারা প্রাণে বেঁচে যান।
মামলার বরাত দিয়ে ওসি বলেন, নিহত আসাদ, তার স্ত্রী পারভিন ও ছেলে লিয়ন প্রতিদিনের মতো ঘুমাতে যান বুধবার রাতে। সকালে আসাদের মেজো ছেলে তোফাজ্জল নানার বাড়ি থেকে ফিরে বাবা-মা ও ছোটো ভাইকে না পেয়ে আত্মীয়স্বজনের কাছে জিজ্ঞেস করলেও কোনো সন্ধান পায়নি। পরে সে পুলিশের কাছে বিষয়টি জানালে পুলিশ নিখোঁজদের সন্ধানে মাঠে নামে।
“রাত সাড়ে ৯টার দিকে বাড়ির পেছনে একটি নির্জন স্থানে গর্ত থেকে একটি হাত দেখা যাওয়ার পর এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়।”
লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত কিশোরগঞ্জ সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।