কক্সবাজারের আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক এসপি মো. হেমায়েতুর রহমান জানিয়েছেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে।
আটক সালমান শাহ ওরফে শহীদুল ইসলাম (৩০) টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা সোনা মিয়ার ছেলে।
হেমায়েতুর রহমান বলেন, “টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্পভিত্তিক কয়েকটি সন্ত্রাসী বাহিনী সক্রিয়। এসব বাহিনী ক্যাম্পে নানা অপরাধে জড়িত। আটক সালমান শাহ নিজের নামে গড়া ‘সালমান শাহ বাহিনীর প্রধান’।”
অভিযানের বিবরণে হেমায়েতুর বলেন, শুক্রবার বিকালে টেকনাফের লেদা রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন স্থানীয় আবু বক্কর মেম্বারের বাড়ির উত্তর পাশে পাহাড়ে একটি ঝুপড়িতে কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী’ অবস্থান করছে খবরে এপিবিএনের একটি দল অভিযান চালায়। অভিযানের বিষয় টের পেয়ে ৪/৫ জন ‘সন্ত্রাসী’ পালিয়ে গেলেও সালমান ধরা পড়ে।
"পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দেশে তৈরি দুইটি রাম দা ও চার হাজার ইয়াবা ট্যাবলেট পাওয়া যায়।"
‘রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী সালমান শাহ বাহিনীর’ এই প্রধানকে আটক করতে এপিবিএন দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল বলে এপিবিএন অধিনায়ক বলেন।
হেমায়েতুর রহমান বলেন, টেকনাফে বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্প কেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি ‘সন্ত্রাসী বাহিনী’ সক্রিয় রয়েছে। এসব সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পে মাদকপাচার, মানবপাচার, ডাকাতি, খুন, অপহরণ ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত।
আটক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।