জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবির বৃহস্পতিবার এই রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডিত আব্দুল কুদ্দুস (৫৫) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আব্দুল কুদ্দুস জেলার বগুড়ার কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামের প্রয়াত ওসমান আলীর ছেলে।
তবে মামলার আরেক আসামি ও দণ্ডিতের প্রথম স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের পিপি আশেকুর রহমান সুজন বলেন, আব্দুল কুদ্দুস নাটোরের সিংড়া উপজেলার ভোগা গ্রামের জাহানারা বেগমকে বিয়ে করে সেখানেই ঘর জামাই হিসেবে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে একই গ্রামের মদিনা বেগম নামে এক নারীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে ২০১২ সালে মদিনা বেগমকে পালিয়ে বিয়ে করেন তিনি। এরপর দুই স্ত্রীকে নিয়ে আব্দুল কুদ্দুস বগুড়ার কাহালু উপজেলার লক্ষ্মীমণ্ডপ গ্রামে বসবাস শুরু করেন।
মামলার বরাতে পিপি সুজন বলেন, দ্বিতীয় বিয়ের কিছুদিন পর কুদ্দুস এক লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে দ্বিতীয় স্ত্রী মদিনা বেগমকে নির্যাতন শুরু করেন। বিষয়টি মদিনা তার মা রোকেয়া বেগমকে জানান। তবে দাবি অনুযায়ী যৌতুকের টাকা দিতে না পারায় কুদ্দুস মদিনা বেগমের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দেন।
“এভাবে চলতে থাকায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই কুদ্দুস পিটিয়ে মদিনা বেগমকে হত্যা করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।”
সুজন জানান, এই ঘটনায় মদিনার মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে কাহালু থানায় আব্দুল কুদ্দুসহ সাত জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আব্দুল কুদ্দুস ও তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগমকে আসামি করে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
বিচারে অপর অভিযুক্ত আব্দুল কুদ্দুসের প্রথম স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দেওয়া হয় বলে জানান পিপি আশেকুর রহমান সুজন।