উপজেলার মিরাট, গোনা ও কাশিমপুর ইউনিয়নের বহু গ্রামের হাজার হাজার মানুষ এখানে একটি সেতু করার দাবি জানিয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
সেতুর অভাবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ছাড়াও হাট-বাজারগামী মানুষ, পণ্য বহনকারী কৃষককে ঝুঁকি নিয়ে নদী পার হতে হয়।
এলাকাবাসী জানান, ছোট যমুনা নদীর দুই পাশে কাশিমপুর, গোনা ও মিরাট ইউনিয়নের সর্বরামপুর, কাশিমপুর, ডাঙ্গাপাড়া, এনায়েতপুর, মঙ্গলপাড়া, ভবানীপুর, পীরেরা, বয়না, বেতগাড়ী, দূর্গাপুর, কৃষ্ণপুর, মালঞ্চি, ঘোষগ্রাম, নান্দাইবাড়ি, আতাইকুলা, কনৌজ, হামিদপুর, জালালগঞ্জসহ বহু গ্রাম রয়েছে। এসব এলাকার মানুষদের রাণীনগর উপজেলা, নওগাঁ জেলা সদরসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে হয় ইজারাদারের দড়িটানা নৌকা। এতে সময় যেমন বেশি লাগে তেমনি নৌকাডুবির ঝুঁকিও থাকে।
স্থানীয় মৌলানা সহিদুল ইসলাম বলেন, “একটি সেতুর অভাবে আমাদের স্কুল-কলেজে ও হাটবাজারে যাতায়াত ও কৃষিপণ্য পরিবহনে নানা সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। অথচ দেখার কেউ নেই।”
আতাইকুলা গ্রামের সাইফুল ইসলাম, মহসিন আলী, গোলাপসহ অনেকেই জানান, কুজাইল-আতাইকুলা খেয়া পারাপার ঘাটে প্রতিদিন যত লোককে পার হতে হয় তাতে একটি সেতু খুবই প্রয়োজন। পারাপারের সময় একাধিকবার নৌকাডুবির ঘটনাও ঘটেছে। কখনও কখনও শিশুদের নৌকা থেকে নদীতে পড়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে কৃষকরা ইচ্ছা করলেই তাদের পণ্যগুলো সহজেই বাজারজাত করতে পারেন না।
মিরাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন, কুজাইল-আতাইকুলার জনগুরুত্বপূর্ণ এই খেয়া ঘাটে একটি সেতুর দাবিতে আমরা একাধিকবার সরকারের ঊর্ধ্বতন ব্যক্তির কাছে গিয়েছি; কিন্তু কোনো লাভ হয়নি।”
রাণীনগর উপজেলা প্রকৌশলী শাহ মো. শহিদুল হক বলেন, কুজাইল-আতাইকুলা এলাকায় ছোট যমুনা নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করে ডিজাইনসহ একটি প্রস্তাবনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ করা যাবে।