গত ২৭ অক্টোবর সকালে অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, চট্ট্রগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজরসহ আট জেলার আট শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে অনশনে থাকা ৬ শিক্ষার্থী জানান, ২৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় মো. মিলন আলী এবং দীপক চন্দ্র দাস নামের দুই অনশনরত শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া মো. মাহফুজুল হক নামের এক ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী অসুস্থ অবস্থায় অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন।
শিক্ষার্থী সৌরভ শীল বলেন, “উপাচার্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি রিজেন্ট বোর্ডের মিটিং পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেছেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা আমরণ অনশন চালিয়ে যাব।”
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, অনশনরত শিক্ষার্থীদের বিষয়ে রোববার (১ নভেম্বর) আলোচনা হবে। ফাঁকা থাকা আসনে নতুন করে শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
আবাসন, শ্রেণিকক্ষ, গবেষণাগারসহ বিভিন্ন সঙ্কটে এবং বেশি শিক্ষার্থী ভর্তির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) আপত্তি থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের সাড়ে ৩০০ অধিক আসান ফাঁকা রেখেই ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ।
এসব আসন পূরণের দাবিতে গত ২৭ অক্টোবর থেকে এ, বি, ই, এফ এবং এইচ ইউনিটের ৮ শিক্ষার্থী আমরণ অনশন শুরু করেন।