মঙ্গলবার রাতে ঢাকা জেলার দক্ষিণ কোরানীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাতেই তাকে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর জানান, স্বপন মোল্লা মুকসুদপুর উপজেলার পূর্ব নওহাটা গ্রামের শ্বশুরবাড়িতে বসবাস করতেন।
তিনি ফুফাত শ্যালক পূর্ব নওখন্ডা গ্রামের ওমর কাজীর ছেলে জুম্মন কাজীর কাছ থেকে কিছু টাকা ধার নেন।
২০০৬ সালের অগাস্ট মাসে নৌকায় করে শ্বশুরবাড়ি যাওয়ার পথে পাওনা টাকা নিয়ে স্বপনের সাথে জুম্মনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে স্বপন ক্ষিপ্ত হয়ে জুম্মনকে হত্যা করে পালিয়ে যান।
এ ঘটনায় জুম্মনের মা মরিয়ম বেগম বাদী হয়ে মুকসুদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
তদন্ত শেষে পুলিশ স্বপনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়।
এ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে ২০১৪ সালে গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালত স্বপনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়।
ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তারে মুকসুদপুর থানার ওসি আবু বকর ও এসআই জামিরুল ইসলাম নেতৃত্ব দেন।