আর ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগে আটক দুই নারীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
এছাড়া ধর্ষণের অভিযোগের মুখে থাকা ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানকে এখনও গ্রেপ্তার করা হয়নি।
রংপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার জাকির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার ভোরে লালমনিরহাট থেকে বাবুল হোসেন ও আবুল কালাম আজাদকে ধর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের রংপুরে পিবিআই কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
“দুপুরে রংপুর মেডিকেলের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) চিকিৎসাধীন ওই স্কুলছাত্রীর মুখোমুখি করা হয় দুজনকে। পরে মেয়েটি ওই দুই যুবককে শনাক্ত করেছে।”
এসপি জাকির হোসেন আরও বলেন, “এসআই রায়হানুলকে আমরা এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করিনি; কিন্তু মেট্রোপলিটন পুলিশকে চিঠি দিয়ে বলেছি তাকে যেন পুলিশের নজরদারিতে রাখা হয়। প্রয়োজন হলে আমরা অবশ্যই তাকে গ্রেপ্তার করব।”
এছাড়া এই ঘটনায় সহায়তার অভিযোগ আটক মেঘলা ও সুরভীকে আদালত কারাগারে পাঠিয়েছে বলেও জাকির হোসেন জানান।
‘ধর্ষণকারীদের’ শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন
‘ধর্ষণকারীদের’ শাস্তির দাবিতে রংপুর প্রেসক্লাবের সামনে সকালে মানববন্ধন করেছেন নানা শ্রেণিপেশার মানুষ।
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রংপুর মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আতিক উল আলম কল্লোল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা রংপুরের মানুষ সহজ সরল; আমরা চাই সকল অন্যায়ের বিচার করা হোক।”
গত রোববার নগরীর কেদারেরপুল বাহার কাচনা এলাকায় একটি বাড়িতে এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে কয়েকজনের বিরুদ্ধে যাদের মধ্যে পুলিশের এক এসআইয়ের নামও আসে।
ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মেঘলা ও সুরভির বিরুদ্ধে ধর্ষণে সহায়তার অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনায় সোমবার মেয়েটির বাবা মামলা করেছেন।