মঙ্গলবার সকাল ৯টায় অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকা গোপালগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, চট্ট্রগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজরসহ আট জেলার আট শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে অনশনে বসেন।
এর মধ্যে এ, বি, এফ, এইচ ইউনিটের একজন করে এবং ই ইউনিটের চারজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
ঠাকুরগাঁও থেকে আসা শিক্ষার্থী মো. মিলন আলী বলেন, “২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে এখনও ৩৫০ আসনের মতো ফাঁকা রয়েছে। আমরা চাই আমাদের সেই ফাঁকা আসনে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হোক। আমরা সেই দাবিতে অনশনে নেমেছি এবং আমাদের দাবি না মানা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
দিনাজপুরের দীপক চন্দ্র দাস বলেন, “আমরা শুরু থেকেই অপেক্ষা করে আছি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোনো নোটিস না দিয়েই ভর্তি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের শিক্ষাজীবন চরম বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাই বাধ্য হয়ে আমরণ অনশনে নেমেছি।”
বিশ্ববিদ্যালয়টির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির প্রধান অধ্যাপক ড. এম. এ. সাত্তার বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণত প্রথম বা দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকার পরে খুব বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয় না। কিন্তু আমরা প্রথম, দ্বিতীয় এমনকি তৃতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে শিক্ষার্থী ভর্তি করেছি। এরপরও কিছু আসন ফাঁকা থেকে যায়।
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এত বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, “তাই পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ফাঁকা থেকে যাওয়া আসনে আর কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না।”
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো নোটিস দেওয়া হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, পরবর্তীতে কোনো শিক্ষার্থীকে না ডাকার মানেই হচ্ছে ভর্তি বন্ধ হয়ে যাওয়া।
কত আসন ফাঁকা রয়েছে তা তিনি জানাতে পারেননি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কিউ. এম মাহবুব বলেন, এ বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নিতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের মিটিংয়ে বিষয়টি তুলতে হবে। সেখানে আলোচনা ও সিদ্ধান্তের পর এ ব্যাপারে ইউজিসির অনুমতি লাগবে।