রংপুরে স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ‘ধর্ষণ’: পুলিশ সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ

রংপুরে গোয়েন্দা পুলিশের এক সদস্যের বিরুদ্ধে প্রেমের ফাঁদে ফেলে এক স্কুলছাত্রীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 Oct 2020, 09:52 AM
Updated : 26 Oct 2020, 09:52 AM

সোমবার ডিবির ওই এএসআইকে জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

এ মামলার প্রধান আসামি মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজু।

রোববার সকালে মহানগরীর হারাগাছ থানার বাহার কাছনা সিগারেট কোম্পানি মোড় মাস্টার পাড়ায় ক্যাদারের পুল সংলগ্ন এক ভাড়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। রাত পৌনে ১২টার দিকে ওই ছাত্রীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এ ঘটনায় এএসআই রায়হানুল ইসলাম ওরফে রাজুসহ দুইজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামি করে বাদী হয়ে রাতেই মামলা করেন ছাত্রীটির বাবা।

তার আগে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া এক নারীকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

হারাগাছ মেট্রোপলিটন থানার ওসি আব্দুর রশিদ জানান, এ ঘটনার মামলায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) আবু মারুফ হোসেন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কিশোরীকে দুইজন ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

“এরমধ্যে রাজু নামের এক পুলিশ সদস্যের কথা জানিয়েছেন। তবে ওই রাজু ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানুল কি-না তা নিশ্চিত হতে রায়হানুলকেও পুলিশের জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (অপরাধ) শহিদুল্লাহ কাওছার জানান, ওই পুলিশ সদস্যের সাথে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ভাড়াটিয়া ওই নারীর বাড়িতে ওই পুলিশ সদস্য ‘ডেটিং করে।’ এরপর মেয়েটি বাসায় ফিরলে দেরি হওয়ায় তার মা রাগারাগি করায় পুনরায় ওই বাড়িতে চলে আসে মেয়েটি।

এ সময় কিশোরীকে আটকে রেখে ‘আরো দুইজন ধর্ষণ করে।’

মেয়েটি এ ঘটনা পুলিশের পেট্রোল গাড়ির সামনে এসে জানালে তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়। মেট্রোপলিটন ডিবি পুলিশের এএসআই রায়হানের জড়িত থাকার ব্যাপারটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

ওই ছাত্রীর মা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার আসামি ধরতে গিয়ে আমার মেয়ের সাথে এএসআই রায়হানুলের পরিচয় হয়েছিল। তারপর থেকেই তাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়। আমার মেয়ের তার সাথে কথাবার্তা বলত। মাঝেমধ্যে দেখা সাক্ষাৎ করত।

“এমন ঘটনা ঘটবে আমরা ভাবতে পারিনি। আমার মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে সে এই কাজ করেছে। বাবা আমি এই ধর্ষকের ফাঁসি দেখতে চাই।“

নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই কিশোরীর পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে রোববার সকালে ওই কিশোরীকে ক্যাদারের পুল এলাকার আলেয়া বেগমের ভাড়া বাড়িতে ডেকে নেন রায়হান। সেখানে রায়হান ওই কিশোরীকে ধর্ষণের পর আরো কয়েকজন যুবক তাকে ধর্ষণ করে। এতে অসুস্থ হয়ে পড়লে সেখান থেকে বের হয়ে ওই কিশোরী টহলরত পুলিশকে বিষয়টি জানায়।