রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তাদের এ কর্মসূচি শুরু হয়। রায়হান হত্যায় জড়িত সব পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন তার মা সালমা বেগম।
“পুলিশ প্রথম থেকেই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ অবস্থায় ন্যায়বিচার পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছি আমরা।
“ঘটনার পর ১৫ দিন অপেক্ষা করেছি। তবু সব আসামি গ্রেপ্তার হয়নি। তাই তাদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছি।”
এদিকে রায়হান হত্যা মামলায় ওই ফাঁড়ির কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস এবং হারুন উর রশিদকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে তদন্ত সংস্থা পিবিআই।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
রায়হান হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর, হাসান উদ্দিনসহ পাঁচজনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
পুরনো খবর