আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট ডুবে ৫ জনের মৃত্যুতে মামলা

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে আগুনমুখা নদীতে স্পিডবোট দুর্ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যুর  ঘটনায় মেরিন কোর্টে মামলা করা হয়েছে।

পটুয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Oct 2020, 10:53 AM
Updated : 24 Oct 2020, 10:53 AM

শনিবার পটুয়াখালী নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা মো. সাদিকুর রহমান জানিয়েছেন, পটুয়াখালী নদী বন্দরের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো. জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে একাধিক ধারা উল্লেখ করে এ মামলা করেন।

মামলার দুই আসামি স্পিডবোট পরিচালনাকারী এবং এসপিবি বেনজীর আহমেদ-১ স্পিডবোটের চালক। তবে ‘তদন্তের স্বার্থে’ নাম জানাননি।

বন্দর কর্মকর্তা সাদিকুর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, বৈরী আবহাওয়ার মধ্যে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করা, যাত্রীদের লাইফ জ্যাকেট সরবরাহ না করা, অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পারাপারসহ একাধিক অপরাধে মামলাটি করা হয়েছে।

উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলেন তিনি।

এ ঘটনায় নিহতরা হলেন, রাঙ্গাবালী থানার পুলিশ কনেস্টবল মো. মহিব্বুল্লাহ, কৃষি ব্যাংক বাহেরচর শাখার পরিদর্শক মো. মোস্তাফিজুর রহমান, আশা ব্যাংকের বাহেরচর খালগোড়া শাখার কর্মকর্তা কবির হোসেন, দিনমজুর মো. ইমরান ও মো. হাসান মিয়া। সবার বাড়ি পটুয়াখালী জেলায়।

নদী বন্দর কর্মকর্তা আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার দিকে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া উপেক্ষা করে জেলার মুল ভূখণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন রাঙ্গাবালী উপজেলার কোড়ালিয়া লঞ্চঘাট থেকে গলাচিপা উপজেলার পানপট্টি লঞ্চঘাট যাওয়ার পথে আগুনমুখা নদীতে প্রচণ্ড ঢেউয়ের কবলে পড়ে তলা ফেটে ১৭ জন যাত্রী নিয়ে স্পিডবোট এসপিবি বেনজীর আহমেদ-১ ডুবে যায়।

খবর পেয়ে অন্য স্পিডবোট এবং মাছধরা ট্রলার ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাসমান অবস্থায় ১২ জনকে উদ্ধার করলেও পাঁচজন যাত্রী নিখোঁজ ছিলেন।

শনিবার সকালে অগুনমুখা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে ভাসমান অবস্থায় তাদের মরদেহ উদ্ধার করে কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌ-বাহিনীর সদস্যরা বলেন নদী বন্দর কর্মকর্তা।