বান্দরবানের পর্যটন খাতে অতিথি এলেও ‘সুদিন ফেরেনি’

করোনাভাইরাস মহামারীতে বন্ধ হওয়ার পর ফের চালু হলেও বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্রগুলোয় এখনও সুদিন ফেরেনি বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

উসিথোয়াই মারমা বান্দরবান প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 06:46 PM
Updated : 23 Oct 2020, 06:46 PM

জেলা শহরে কাছে মেঘলার হলি ডে ইন রিসোর্টের ব্যবস্থাপক মো. জাহিদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মহামারীর আগে তাদের কটেজের ১৪টি কক্ষ খালি হওয়ার আগেই বুক হয়ে যেত। এখন শুক্র ও শনিবার ছাড়া বুকিং তেমন পাওয়া যায় না। আগের চেয়ে ৫০ শতাংশ অতিথি কমে গেছে।

তবে শহরের কাছে ভেনাস রিসোটে মহামারী বিবেচনায় অবস্থা ভালো বলে জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক চিংশোয়ে রাখাইন।

তিনি বলেন, তাদের রিসোর্টে ছোট-বড় মিলে ৩৮টি কক্ষ রয়েছে।শর্ত মেনে পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়ার পর অতিথি দিন দিন বাড়ছে।

মেঘলা পর্যটনকেন্দ্র

“তবে নভেম্বরে আবার পর্যটন ব্যবসা খারাপের দিকে যেতে পারে; যদি সে সময় করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ আসে।”

শহরে হিল ভিউ আবাসিক হোটেলের ব্যবস্থাপক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “প্রতিবছর অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ৯০ শতাংশ বুকিং থাকত। কিন্তু এবারে সে আশা দেখছি না।

“আমাদের হোটেল ১১৯টি কক্ষ রয়েছে। অন্যান্য বছর অক্টোবর মাঝামাঝি থেকে বুকিং শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো সাড়া নেই। তবে বর্তমানে হোটেলের কক্ষ হিসেবে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ অতিথি রয়েছে।”

নাফাকুম জলপ্রপাত, রেমাক্রি, থানচি

জেলা আবাসিক হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বলেন, তাদের সমিতির ৫৭টি আবাসিক হোটেল-মোটেল রয়েছে। মহামারীতে পর্যটকদের সংখ্যা কিছুটা বাড়লেও সব হোটেল-মোটেল একই রকম অতিথি পাচ্ছেন না। তবু সবাই ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে।

মানুষের মধ্যে এখনও আতঙ্ক রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

শহরে পাশে রয়েছে নীলাচল ও মেঘলা নামে দুটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু সেখানে তেমন পর্যটক আসে না বলে জানিয়েছেন টিকেট বিক্রেতারা।

নীলাচল পর্যটনকেন্দ্রের টিকেট বিক্রেতা আদীপ বড়ুয়া বলেন, “শুক্র ও শনিবার দুই দিন দৈনিক ৮০০টির মত টিকেট বিক্রি হয়। অন্যান্য দিনে ৪০০ থেকে ৫০০টির মত টিকেট বিক্রি হয়।”

বগা লেক, রুমা

মহামারীরর আগে প্রতিদিন হাজারের বেশি টিকেট বিক্রি হত বলে তিনি জানান।

মেঘলা পর্যটনকেন্দ্রের টিকেট বিক্রেতা সুকুমার তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, মেঘলায় বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার ৫০০ থেকে ৭০০টি টিকেট বিক্রি হয়। অন্যান্য দিনে ২০০ থেকে ৩০০টির মত।

জেলা জিপ-মাইক্রো-কার শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি হারুনুর রশিদ বলেন, আগে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০টি গাড়ি ভাড়া হত। এখন ১০০টির বেশি হয় না।

থানচির পর্যটক গাইড শিমিয়ন ত্রিপুরা জানান, আগে অনেকেই চলে যেতেন রুমা ও থানচির দুর্গম এলাকায়। সেখানে পর্যটকের সংখ্যা আগের তুলনায় কমে গেছে। অক্টোবর থেকে কয়েক মাস পর্যটক গাইডদের মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা আয় হত। এখন আয় কমে গেছে।