শুক্রবার ভোলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা দুযোর্গ ব্যবস্থপনা কমিটির জরুরি সভা থেকে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে সতর্কতামূলক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোররাত থেকে বিরতিহীন বৃষ্টিপাতে ভোলা সংলগ্ন মেঘনা ও তেতুলিয়া নদী উত্তাল হয়ে উঠেছে। নদীতে অতিরিক্ত জোয়ারের কারণে ভোলার নদী তীরবর্তী এলাকা তিন থেকে চার ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
প্রস্তুতির বিবরণ দিয়ে ডিসি জানান, জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একটি এবং সাত উপজেলায় সাতটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এছাড়া ২০টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ৭০৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র এবং দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
উদ্ধার কাজের জন্য নৌ-পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, কোস্টগার্ড, আনসার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চরাঞ্চল থেকে লোকদের মূল ভুখণ্ডে আনার জন্য সব নৌ-যান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি সব স্কুল-কলেজগুলোকে আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহারের জন্য প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়। করোনার জন্য স্বাস্থ্যবিধি মেনে সাইক্লোন শেল্টারগুলোকেও ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
সভায় অন্যদের উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মামুন আল ফারুক, ভোলা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার মিজানুর রহমান, ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) মো. শাহাবুদ্দিন, ভোলা রেড ক্রিসেন্ট সেক্রেটারি আজিজুল ইসলাম, ফায়ার সার্ভিসও সিভিল ডিফেন্স ভোলার উপ-সহকারী পরিচালক জাকির হোসেন প্রমুখ।
বিআইডব্লিউটিএ ভোলা নদী বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. কামরুজ্জামান জানান, আবহাওয়া ভালো না হওয়া পর্যন্ত সব লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকবে।
টানা বৃষ্টির কারণে জেলার জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে। শহরসহ জেলার সব হাটবাজারের বেশিরভাগ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।