গোপালগঞ্জে গোপনে সামাজিক বনের গাছ কাটার অভিযোগ

গোপালগঞ্জে অর্ধশতাধিক উপকারভোগীকে ‘বঞ্চিত করতে’ গোপনে সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির ৫০টি গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 23 Oct 2020, 08:49 AM
Updated : 23 Oct 2020, 08:49 AM

কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা-গোপালপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুইপাশের নিম, আকাশমনি, শিশু, কদমসহ বিভিন্ন প্রজাতির ৫০টি গাছ কেটে ফেলেন ওই কর্মসূচির সভাপতি এসএম দেলোয়ার হোসেন দুলু।

এতে প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কাকা করছেন এ কর্মসূচির অর্ধশতাধিক উপকারভোগী।

গোপালগঞ্জ জেলা বন কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, “গাছ কাটার অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে গাছগুলো জব্দ করি। অনুমতি না নিয়েই ৪০ থেকে ৫০টি গাছ কাটা হয়েছে।

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির উপকারভোগী বদরুল সরদার বলেন, বনবিভাগের সহযোগিতায় সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা ওই সড়কের পাশে প্রায় দুই হাজার গাছ লাগাই।

এসব গাছ দেখাশোনার জন্য ‘সৃজিত স্টিপ’ কমিটি গঠন করে দেয় বন বিভাগ।

বন বিভাগের সাথে কমিটির চুক্তি আনুযায়ী গাছের বয়স ১০ বছর বা তার বেশি হলে বন ভাগের অনুমোদন নিয়ে গাছ কাটতে হবে।

এসব গাছ বিক্রির ৫৫ ভাগ টাকা কমিটির সদস্যরা, ২০ ভাগ টাকা রাস্তার মালিক, ৫ ভাগ টাকা ইউনিয়ন পরিষদ পেয়ে থাকে। ১০ ভাগ টাকা পুনরায় বৃক্ষ রোপনের জন্য এবং বাকি ১০ ভাগ টাকা সরকারে কোষাগারে জমা দিতে হয় বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, “আমাদের না জানিয়ে সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু এবং সদস্য ছলেমান সরদার ঝড়ে পড়ে যাওয়ার কথা বলে বনায়ন কর্মসূচির ৫০টি গাছ কেটে ফেলে। তারা বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে এ কাজ করেছেন।”

উপকারভোগী তোফায়েল আহমেদ ও হোসেন আলী সরদার জানান, সভাপতি গাছ বিক্রি করতে গেলে তারা বাধা দেন। পরে বিষয়টি বন বিভাগকে জানালে তারা এ গাছ জব্দ করে।

“আমাদের ভাগ থেকে বঞ্চিত করতেই তারা এ কাজ করেছে।”

সামাজিক বনায়ন কর্মসূচির গাছ কাটার কথা স্বীকার করে কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন দুলু বলেন, “গাছগুলো ঝড়ে পড়ে ছিল। আমি কেটে এনে স্তুপ করে রেখে দিয়েছি। পরে বিষয়টি আমি বন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।”

এদিকে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান উপকারভোগীরা। এ ঘটনায়  মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।