ওই গ্রামের ঈমান আলী মণ্ডল আর আমেনা বেগম বুধবার রাতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার জাঁক করে হয়েছে বউভাত।
দিঘাপতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খন্দকার ওমর শরীফ চৌহান বলেন, “১০৫ বছর বয়সী আহাদ আলী আর ৮০ বছর বয়সী আমেনার বিয়ে নিয়ে গ্রামের মানুষের আনন্দের শেষ নেই। এই বিয়ে ঘিরে গ্রামে উৎসবের আমেজ বইছে।
“কাউকে আলাদা করে আমন্ত্রণ জানানোরও প্রয়োজন পড়েনি। বুধবার রাতে নিজে থেকে শতাধিক লোক বরযাত্রী হয়ে কনের বাড়িতে যায়। বর-কনেকে বিয়ের নতুন পোশাকে সজ্জিত করা হয়। পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলেমিশে গ্রামবাসী বউভাতের আয়োজন করে। গ্রামবাসী আমাকেও ওই বইভাতে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। শেষ বয়সে এসেও দুটি মানুষ যে একে অপরের কাছে আসতে পারে তার উদাহরণ হয়ে থাকবে আহাদ-আমেনা দম্পতি।”
আহাদ আলীর ছোট ছেলে কোরবান আলীর বয়স ৪৮ বছর।
তারা পরিবারের সদস্যদের মতামত নিয়ে বিয়ে করেছেন। ৫০ হাজার ৬৫০ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়েছে বলে জানিয়েছেন আহাদ আলী।
তিনি বলেন, “প্রথম স্ত্রী মারা যাওয়ার পর খুব কষ্টে দিন কাটে। কিন্তু চার ছেলে ও তিন মেয়ে মানুষ করে বিয়ে দিতে গিয়ে কষ্ট ভুলে ছিলাম। পরে ছেলেমেয়ের সংসার আলাদা হয়ে যায়। আমি একা হয়ে পড়ি।”
আমেনার দুই মেয়ের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। স্বামী মারা যাওয়ায় একা ছিলেন। তাই আহাদ আলীর বিয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন বলে তিনি জানান।
বাকি জীবন যেন সুখে কাটে সেজন্য নবদম্পতি সবার দোয়া চেয়েছেন।