টাঙ্গাইলের কলেজ ছাত্রীকে দলবেঁধে ‘ধর্ষণ’: এখন ডিএনএ পরীক্ষা

টাঙ্গাইলে ‘দলবেঁধে ধর্ষণের শিকার’ এক কলেজ ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা পাঠাচ্ছে চিকিৎসকরা।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 Oct 2020, 07:18 AM
Updated : 22 Oct 2020, 08:04 AM

বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজীব জানান, ওই তরুণীর প্রাথমিক পরীক্ষার পর সোয়াব টেস্টের ফল নেগেটিভ এসেছে।

দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগ সঠিকতা নিশ্চিত হতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তরুণীর জামা-কাপড় থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হবে বলেন তিনি।

টাঙ্গাইল জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক চিকিৎসক শফিকুল ইসলাম সজীব

পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, এ ঘটনার অভিযোগ মামলা আকারে নেওয়া হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার ফলাফল তদন্তের একটি অংশ। সব বিষয়ের তদন্ত শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গত মঙ্গলবার রাতে মেয়েটির মা বাদী হয়ে কয়েকজন যুবককে আসামি করে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গোপালপুর থানায় মামলা করেন।

গোপালপুর থানার ওসি মোশাররফ হোসেন জানান, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি।

ওই কলেজ ছাত্রী সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয় মোহনপুর বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে তাকে নৌকায় তুলে নিয়ে গিয়ে সন্ধ্যা থেকে রাতভর ধর্ষণ করে একদল যুবক। এরপর মঙ্গলবার ভোরে তাকে মোহনপুর ঘাটে ফেলে রেখে যায় তারা।

এদিকে, মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হালিমুজ্জামান তালুকদার বলেন, “শুনেছি ওই ছেলে (প্রধান আসামি) আর মেয়েটির সামাজিকভাবে কাবিন ছাড়া বিয়ে হয়েছিল। এখন শুনছি যে ছেলেটির বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করা হয়েছে।”

মির্জাপুর ইউনিয়নের নুঠুর চর এলাকার মাতব্বর মো.আশরাফুজ্জামান বলেন, কয়েক বছর আগে ওই মেয়ের সঙ্গে প্রধান আসামির ‘সামাজিকভাবে বিয়ে হয়।’ মেয়েটি অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় সে সময় কাবিন করা হয়নি।

“কয়েক মাস আগে তাদের মৌখিকভাবে তালাক হয় বলে আমি শুনেছি।”

তার দাবি, ছেলেটির আবার বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। এ সময় ওই ছেলের বাড়িতে ওঠে তরুণীটি। তখন কয়েকজনসহ ছেলেটির চাচা জোর করে মেয়েটিকে তার বাবার বাড়িতে রেখে যান।

তবে সামাজিকভাবে এ বিয়ে হওয়ার কথা সত্য নয় বলে দাবি করেন ওই তরুণীর নানা।