ঠাকুরগাঁওয়ের রসিক রায় জিউ মন্দির এলাকায় ১৪৪ ধারা

ঠাকুরগাঁওয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ও ইসকন সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কায় শ্রী শ্রী রসিক রায় জিউ মন্দির এলাকায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Oct 2020, 09:42 AM
Updated : 21 Oct 2020, 09:42 AM

বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ গ্রামের এ মন্দির এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন।

এলাকাবাসীকে উদ্ধৃত করে নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, প্রায় ১০০ বছর আগে জমিদার বর্ধামনি চৌধুরাণী আউলিয়াপুর ইউনিয়নের মাদারগঞ্জ এবং ভাতগাঁও মৌজা এলাকায় শ্রী শ্রী রশিক রায় জিউ মন্দির নির্মাণ করেন। এছাড়াও মন্দির পরিচালনার জন্য ওই জমিদার আরও ৮১ একর সম্পত্তি দান করেন।

সম্প্রতি মন্দিরের আয়-ব্যয় নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়। এরপর আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘ (ইসকন) রশিক রায় জিউ মন্দির পরিচালনা করার দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আধিপত্য নিয়ে সনাতন হিন্দু ধর্মাবলম্বী এবং ইসকনের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এ দ্বন্দ্বের জেরে ২০০৯ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।

এ ঘটনায় সনাতন ধর্মাবলম্বী ফুলবাবু নামে একজন নিহত হন। এ ঘটনার পর প্রশাসন মন্দিরের কর্তৃত্ব নিয়ে মন্দিরের সীমানার ভেতর দুর্গাপূজা উদযাপনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অন্য বছরের মতো এবারও সনাতন ধর্মাবলম্বীরা মন্দিরের বাইরে দুর্গাপূজা উদযাপনের আয়োজন করে। অন্যদিকে ইসকন মতাদর্শীরা মন্দিরের ভেতরে দুর্গাপূজা পালনের প্রস্তুতি নেয়। এতে সনাতন ও ইসকন সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়।

আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে এমন আশঙ্কা করে রসিক রায় জিউ মন্দির এলাকায় পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। পূজা শেষ হলে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে বলেন তিনি।

ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি তানভিরুল ইসলাম বলেন, ১৪৪ ধারা জারি করার পর থেকে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

“আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিকভাবেই দূর্গাপুজা উৎসব সম্পন্ন হবে।”