মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তন কক্ষে বই বিতরণ অনুষ্ঠান উপলক্ষে ঢাকা থেকে ভার্চুয়াল বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলা ও ইতিহাস বিকৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা এই ধারণা থেকে আবার ফিরিয়ে এনেছেন। আবার তিনি মুক্তিযুদ্ধকে জীবন দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী প্রেস কাউন্সিলকে ফের কার্যকর করেছেন বলতে গিয়ে বিচারপতি মমতাজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, তারা প্রেস কাউন্সিলকে চলতেই দেয় নাই।
তিনি বলেন, ভালো মানুষ সৃষ্টি করবে।ভালো মানুষ যদি না থাকে তাহলে দেশ চলবে না।
দেশের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী টাকা দিচ্ছেন উল্লেখ করে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্য করে প্রেস কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বলেন, সেই টাকার কাজ না হলে তা লেখেন। প্রধানমন্ত্রীকে জানান।
“কিছু জালিয়াত দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করছে।বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ যেগুলো রয়েছে সেগুলো প্রধানমন্ত্রী করছেন। এসব কাজ তুলে ধরুন। মানুষকে জানাতে হবে।”
ডিজিটাল আইন নিয়ে যাতে সাংবাদিকদের কষ্ট পেতে না হয় সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জানান তিনি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ট্রাস্ট করে দিয়েছেন। সেখান থেকে সাংবাদিকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। বিশ্বে একমাত্র বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সময়ে সরকারের তরফ থেকে সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
প্রেস কাউন্সিল সাংবাদিকদের ডাটাবেজ তৈরি করছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, এটা হলে সাংবাদিকেরা সম্মান পাবেন।
ক্লাবের সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান রঞ্জনের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রেসক্লাব সম্পাদক শ্যামলেন্দু পাল ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল এবং গণমাধ্যমে সরকারি কর্মকর্তাদের কথা বলার ওপর কড়াকড়ি আরোপে জারি করা সার্কুলার প্রত্যাহার দাবি জানান।
বঙ্গবন্ধু জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে নেত্রকোণাসহ ২০ জেলায় বই বিতরণ করা হয়। জেলা প্রেসক্লাবকে ৪০টি মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা বই দেওয়া হয়।