ইলিশ রক্ষা: ডুবিয়ে দেওয়া হল শতাধিক নৌযান

পদ্মায় মা ইলিশ রক্ষায় মুন্সীগঞ্জে অভিযান চালিয়ে শতাধিক নৌযান ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 20 Oct 2020, 06:30 AM
Updated : 20 Oct 2020, 06:31 AM

আগের রাত সাড়ে ১০টা থেকে মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলা অভিযানের সময় ৯৪টি ট্রলার ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। তার আগের রাতেও ১০০ নৌকা পদ্মায় ডোবানো হয়।

আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে বিমানবাহিনীর সহায়তা নিয়ে চালানো মঙ্গলবার পর্যন্ত চলা এ অভিযান প্রসঙ্গে মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির আইসি পরিদর্শক সিরাজুল কবির জানান, অতিরিক্ত ডিআইজি মাহাবুবুর রহমান, নৌ পুলিশের এসপি খন্দকার ফরিদুল ইসলাম, এসপি (অ্যাডমিন) শফিকুল ইসলামসহ চারজন এসপি, মৎস্য বিভাগের উপসচিব আলমগীর হোসেন, দুইজন অতিরিক্ত এসপি ও দুইজন সহকারী এসপিসহ নৌ পুলিশের ৮০ জন সদস্য পদ্মায় এ অভিযান চালান।

এছাড়া জাতীয় সম্পদ রক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে নৌ পুলিশের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাসহ বিমান বাহিনী এ অভিযানে অংশ নেয়। আকাশ থেকে হেলিকপ্টারে মনিটরিং করে বিমান বাহিনী বলেন তিনি।

“অভিযানে আটক করা ৯৪টি মাছ ধরার ট্রলার পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়া ৬৭ লাখ মিটার ইলিশ ধরা জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ছয় জেলেকে আটক করা হয়েছে।

পদ্মা পারের সিডার চর, কলিকালের চর ও বাবুর চরে গড়ে ওঠা মৌসুমি ইলিশের আড়ৎ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। পদ্মার পাশাপাশি লৌহজংয়ের পদ্মার শাখা নদীতেও এ অভিযান চালানো হয় বলেন তিনি।

সিরাজুল কবির আরো জানান, মা ইলিশ রক্ষায় গত ১৪ অক্টোবর থেকে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে।

“গত রোববার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত চালানো আগের অভিযানেও মা ইলিশ ধরার কাজে ব্যবহৃত একশ’নৌকা জব্দ করে পদ্মায় ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

এছাড়া, লৌহজংয়ে পদ্মা নদী থেকে ৪১ জেলেকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।তাদের ৩৩ জনকে এক মাস করে বিনাশ্রম জেল এবং আট জেলেকে পাঁচ হাজার করে মোট ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এছাড়া ৪০ কেজি মা ইলিশসহ পাঁচ লাখ বর্গমিটার কারেন্ট জাল জাল জব্দ করা হয়। জেলের মধ্যে ১০ জন শিশু হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন তিন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মু. রাসেদুজ্জামান, মো. ইলিয়াস শিকদার ও বিকাশ চন্দ্র বর্মন।