সোমবার নগরীর আটরা শিল্পাঞ্চলের ইস্টার্ন গেট এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সংঘর্ষে তাদের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন।
পুলিশ বলছে, আন্দোলনকারীদের ইটপাটকেলে ৮/৯ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল আধুনিকীকরণ করে পুনরায় চালু, দুর্নীতি-ভুলনীতি-লুটপট বন্ধ, শ্রমিকদের বকেয়া টাকা এককালীন পরিশোধ ও ক্ষতিপূরণ প্রদানসহ ১৪ দফা দাবিতে ‘পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদ’ এই অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।
এছাড়া পুলিশের হামলায় আহমেদ তাসনিম শ্যামল, নারী শ্রমিক নাজমা খাতুন, খাদিজা বেগম, হাফিজা বেগম, সুমি রায়, শেফালী বালা, সুচিত্রা বিশ্বাস, সাফিয়াসহ অন্তত ১০-১২ জন আহত হয়েছেন বলেও তারা অভিযোগ করেন।
পাটকল রক্ষায় সম্মিলিত নাগরিক পরিষদের নেতা গণসংহতি আন্দোলন খুলনা জেলা কমিটির সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল বলেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে শ্রমিকদের ওপর হামলা চালিয়েছে। শ্রমিক নেতাদের দীর্ঘ সময় ইস্টার্ন মিলগেটে আটকে রাখে। সেখানে সাধারণ শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে। এই সময় ১০-১২ জন শ্রমিক গুরুতর আহত হন।
খানজাহান আলী থানার ওসি প্রবীর কুমার বিশ্বাস বলেন, সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থল থেকে ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় পুলিশের ৮-৯ জন সদস্য আহত হয়েছেন।
আত্মরক্ষার্থে পুলিশ দুটি শটগানের গুলি ও সাতটি টিয়ার শেল নিক্ষেপ করেছে বলেও জানান ওসি প্রবীর।
খুলনা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) সোনালী সেন বলেন, “শ্রমিকরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তৎপর হন তারা। তবে পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।”
এদিকে, খুলনায় বন্ধ হওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল শ্রমিকদের অবসর ও স্বেচ্ছা অবসর (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক) ভাতাসহ সব বকেয়া পরিশোধ শুরু হয়েছে।
সোমবার দুপুরে নগরীর খালিশপুর প্লাটিনাম জুবিলি জুট মিলস অফিসার্স ক্লাব চত্বরে আনুষ্ঠানিকভাবে শ্রমিকদের চূড়ান্ত পাওনার চেক এবং সঞ্চয়পত্র প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়।
প্রাথমিকভাবে প্লাটিনাম জুট মিলস লিমিটেডের ৪৫ জন শ্রমিকের হাতে চেক ও সঞ্চয়পত্র তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, অবশিষ্ট শ্রমিকদের পাওনা ২১৬ কোটি ২৮ লাখ ৬ হাজার ২৪ টাকা শ্রমিকদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে ও ২১৪ কোটি ৮৪ লাখ ৪২ হাজার ৬৭১ টাকা তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে বিতরণ করা হবে।