নারায়ণগঞ্জে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলা, মান্না-তৈমুর ‘আহত’

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বিএনপি চেয়ারপারসনের রোগমুক্তি ও তার উপদেষ্টা তৈমূর আলম খন্দকারের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনা ঘটেছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 19 Oct 2020, 04:00 PM
Updated : 19 Oct 2020, 04:00 PM

সোমবার বিকালে উপজেলার রূপসী খন্দকার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সভামঞ্চের চেয়ার-টেবিল, সাউন্ড সিস্টেম ও ৭/৮টি গাড়ি ভাংচুর করেছে।

হামলায় তৈমুর আলম খন্দকার ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে বিএনপি নেতাদের ভাষ্য। 

স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীরা এই হামলা চালিয়েছেন বলেও তাদের অভিযোগ।

তবে ছাত্রলীগ-যুবলীগ অভিযোগ অস্বীকার করে বলছে, তারা অনুষ্ঠান করতে ‘নিষেধ’ করেছে, হামলা হয়।

পুলিশও হামলার ঘটনা ঘটেনি বলছে।

তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন, তার জন্মদিন ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় পারিবারিক অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না বক্তব্য দেওয়ার সময় স্থানীয় সাংসদ বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর অনুসারী ছাত্রলীগ-যুবলীগ অতর্কিত হামলা চালায়।

“হামলাকারীরা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সাংসদ গাজীর বাড়ি থেকে এসে হামলা চালিয়ে আবার গাজীর বাড়িতে ফিরে গেছে।”

প্রত্যক্ষদর্শী ও বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, তৈমুর আলম খন্দকার, তার মেয়ে মার-ই-য়াম খন্দকারসহ বিএনপিসহ স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।

বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, এক পর্যায়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের লোকজন অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা উপস্থিত লোকজনদের একের পর এক মারধর করতে থাকে। মঞ্চ থেকে নেতাদের মারধর করে মাটিতে ফেলে দেয়।

তৈমুর আলম খন্দাকার বলেন, হামলায় মাহমুদুর রহমান মান্না, তিনিসহ ৪০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। হামলার পর মাহমুদুর রহমান মান্নাকে লোক দিয়ে ঢাকায় পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

পারিবারিক অনুষ্ঠানের এই ‘সন্ত্রাসী’ হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।

এই বিষয়ে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদার বলেন, “আমি যতটুকু জানি, ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ স্থানীয় লোকজন সেখানে গিয়েছিল অনুষ্ঠান না করতে বলার জন্য; কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।”

রূপগঞ্জ উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কামরুল ইসলাম বলেন, “এখানে বিএনপির রাজনীতি তিন ভাগে বিভক্ত। বিএনপির অন্তর্কোন্দলের কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে। আমাদের কোনো নেতাকর্মী সেখানে যায়নি। তারা নিজেরাই ঘটনা ঘটিয়ে প্রতিপক্ষের ওপর চাপিয়ে দেন।”

রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, “ওনার (তৈমুর) জন্মদিনের অনুষ্ঠান সর্ম্পকে পুলিশকে আগে থেকে অবহিত করেননি। জন্মদিনের অনুষ্ঠান শেষে তারা দলীয় অনুষ্ঠান শুরু করলে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করেন। কিন্তু ওনারা ওইটাকে হামলার ঘটনা বলছেন। ‘একচুয়েলি’ সেখানে ওই ধরনের কোনো হামলার ঘটনা ঘটেনি।”

তারা এই বিষয়ে অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

এই ব্যাপারে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।