জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত জুলফিকার আলী খাঁন রোববার নয় বছর আগের এই মামলার রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিত মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুলকে মৃত্যুদণ্ড এবং মনির ও বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় বুলবুলপলাতক ছিলেন। তবে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি নির্মল কান্তি ভদ্র সাংবাদিকদের জানান, ইসলামপুর উপজেলার ধর্মকুড়া শান্তিপাড়া গ্রামের সামিউল হকের ছেলে জিয়াউল হক (৩২) ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন।
মামলার নথির বরাতে তিনি বলেন, ২০১১ সালের ৫ অক্টোবর সকালে মোটরসাইকেল ভাড়া নেওয়ার কথা বলে মোবাইলে ডেকে নেন পার্শ্ববর্তী কড়ইতার গ্রামের নবা খানের ছেলে মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুল। দুর্বৃত্তরা মোটরসাইকেল চালক জিয়াউল হককে শ্বাসরোধে হত্যার পর মোটরসাইকেল ও মোবাইল ফোন নিয়ে পালিয়ে যায়।
পরদিন সকালে মেলান্দহ উপজেলার চারাইলদার পাথালিয়া গ্রামের একটি ধান ক্ষেতে জিয়াউলের লাশ পাওয়া যায়।
এই ঘটনায় জিয়াউলের স্ত্রী বিউটি বেগম বাদী হয়ে ২০১১ সালের ৬ অক্টোবর মেলান্দহ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পিপি নির্মল জানান, ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত মাহবুবুর রহমান ওরফে বুলবুলকে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় মৃত্যুদণ্ড, ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৭৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়্।
এছাড়া অপর দুই আসামি মেলান্দহ উপজেলার মাঝবন্দ গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মনির ও গোবিন্দপুর গ্রামের সুলতানের ছেলে বাবুকে দণ্ডবিধির ৩০২/৩৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড এবং ৩৭৯ ধারায় দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।