রোবববার সকালে তাকে জেলার ৩ নম্বর আমলী আদালতে উপস্থাপন করে ধর্ষণ, অস্ত্র এবং বিস্ফোরক আইনে দায়ের করা তিনটি মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছে পুলিশ।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ এ তিন মামলার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছে। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মাসফিকুল হক ওই রিমান্ড আবেদন শুনবেন বলে আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
বেগমগঞ্জ মডেল থানায় নির্যাতনের শিকার ওই নারীর দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় দোলোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ওই নারীর দায়ের করা অপর দুটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
গত ৪ অক্টোবর একলাশপুরে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়।
এ নিয়ে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা হলে ঘটনার ‘মূল হোতা’ দোলোয়ার এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান। ৫ অক্টোবর নারায়নগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থেকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ তাকে আটক করে র্যাব।
পরদিন দেলোয়ারের মাছের ঘের থেকে হতবোমা উদ্ধার করে র্যাব। এরপর বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে দুইটি মামলা করে র্যাব।
১৩ অক্টোবর দেলোয়াকে জেলার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে তাকে হাজির করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন এবং পর্নোগ্রাফি আইনে ওই নারীর করা অন্য দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।
শুনানি শেষে বিচারক তাকে ওই দুই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেয়।
এ তিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা জানান, জিজ্ঞাসাবাদের দেলোয়ারকে ধর্ষণের মামলায় সাত দিন এবং অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় আরো পাঁচ দিন করে মোট ১৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।