লালমনিরহাটে মাটির নিচে ‘যুদ্ধ বিমানের’ ধ্বংসাবশেষ

লালমনিরহাট সদর উপজেলায় একটি চাষের জমিতে ‘যুদ্ধ বিমানের’ ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে।

লালমনিরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Oct 2020, 12:32 PM
Updated : 17 Oct 2020, 12:32 PM

লালমনিরহাট বিমানবন্দর রানওয়ে থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ বাঁশের তল এলাকায় এর খোঁজ পাওয়ার পর উদ্ধারের কাজ শুরু হয়েছে।

লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্ত্বাবধান ইউনিটের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মাহমুদুল হাসান মাসুদ জানান, “বিমানের বেশ কিছু অংশের জিনিসপত্র পেয়েছি। এসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করে এই মুহূর্তে এ সম্পর্কে কিছু বলা সম্ভব না।”

জমিটির মালিক রেজাউল করিম নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি।

তিনি বলেন, এটা তার আবাদি জমি। উঁচু জমির ওপর থেকে মাটি কেটে সমান করার সময় শুক্রবার দুপুরের পর সোহেল মিয়া নামে এক শ্রমিক প্রথম কিছু গুলি দেখতে পান।

“পরে আমি থানায় খবর দিই। পুলিশ এসে সেগুলো নিয়ে যায়। শনিবার সকালে বিমান বাহিনীর লোকজন, পুলিশ ও ডিসি অফিসের কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে স্থানীয় শ্রমিকদের মাধ্যমে পাঁচ ফুট মাটির নিচ থেকে যুদ্ধ বিমানের বেশ কিছু জিনিস উদ্ধার করেন। এখনও কাজ চলছে।”

সরেজমিন দেখা গেছে, বিমান বাহিনীর লোকজন ও প্রশাসনের লোকজন এলাকাটিকে ঘিরে রেখেছেন। এলাকায় উৎসুক জনতা ভিড় করছে।

বিমান বাহিনীর একজন সদস্য জানান, “একটি যুদ্ধবিমানের প্রপেলার, দুটি ল্যান্ডিং গিয়ার, ওয়েল বার্নি এক্সজস্ট, অ্যামিউনেশন্স, পাঁচটি গান ও বিমানের টুকরো কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। যন্ত্রাংশের নাম নিশ্চিত হতে এবং কোন দেশের তৈরি বা কোন দেশের যুদ্ধবিমান তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

সদর থানার ওসি শাহা আলম বলেন, লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর রক্ষণাবেক্ষণ ও তত্বাবধান ইউনিটের একটি দল ও পুলিশ স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার কাজ শুরু করে। এখনও পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) টিএম রাহসিন কবির উপস্থিতি রয়েছেন।

উদ্ধার কার্যক্রমে যেন কোনো প্রকার আইনগত বাধা-বিপত্তি না ঘটে সেজন্য নেজারত ডেপুটি কালেক্টর টিএম রাহসান কবিরকে পাঠানো হয় বলে জানান ডিসি আবু জাফর।

তিনি বলেন, “বিমানের ধ্বংসাবশেষগুলো উদ্ধারের পর যদি জেলা প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করা হয় তাহলে সেগুলো জেলা ট্রেজারিতে সংরক্ষণ করা হবে। আর যদি বিমান বাহিনী নিয়ে যায়, তারাও সেগুলো নিয়ে যেতে পারে। উদ্ধার কার্যক্রম শেষ হওয়ার পর সার্বিক বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।”