‘আগামীর লড়াই হবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে’

ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধেগণজাগরণ তৈরির লক্ষ্যে নোয়াখালীর পথে লংমার্চ থেকে ধর্ষণের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 Oct 2020, 09:26 AM
Updated : 16 Oct 2020, 09:26 AM

শুক্রবার বেলা পৌঁনে ১টার দিকে নারায়ণগঞ্জে নগরের চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে লংমার্চের এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সেখানে বক্তারা বলেন, আগামীর লড়াই হবে ধর্ষণের বিরুদ্ধে; ধর্ষণের পাহাড়াদার এই সরকারের বিরুদ্ধে।

ছাত্র ইউনিয়নের নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি শুভ বনিকের সভাপতিত্বে ফারহানা মানিক মুনার সঞ্চালনায় সমাবেশে সমাবেশে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আসাদ্জ্জুামান মাসুম, উদীচী শিল্পী গোষ্ঠি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আনোয়ার, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ, চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের নেতা নিখিল দাস, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি গোলাম মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক অনিক রায়, গণতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের দফতর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।

সমাবেশে মাসুম বলেন, “সারাদেশে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ বেড়েছে; বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণ বাড়ছে। ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশে ধর্ষণের রাজনীতি চালু করেছে।”

সিলেটে এমসি কলেজে ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা জড়িত উল্লেখ করে তিনি বলেন, “গডফাদারে সারাদেশ সয়লাব হয়ে গেছে। রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, চিবিয়ে দানবে পরিণত হয়েছে সরকার।”

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড আইন করে বাহবা নিতে চায়। ধর্ষণ বিরোধী আমাদের এই আন্দোলনে ধর্ষণের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও বিচার দেখতে চায় দেশের মানুষ। সকলের একটাই দাবি ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা। বাংলাদেশ থেকে সমূলে ধর্ষণ নিশ্চিহ্ন করা।”

এছাড়া লংমার্চে কোথাও বাধা দেওয়ার চেষ্টা হলে সরকারের পতনের আন্দোলন শুরু হবে বলেও সমাবেশে বক্তারা হুঁশিয়ারি জানান।

তারা বলেন, দেশের আইনের শাসন নেই, গণতন্ত্র নেই। শোষণহীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য ৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু নারী-পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা হয়নি, শোষণহীন রাষ্ট্র ব্যবস্থা চালু হয়নি। এই লড়াই জেলায় জেলায়, থানায় থানায় প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

সমাবেশ শেষে লংমার্চ নোয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এদিকে লংমাচকে কেন্দ্র করে নগরে পুলিশের নিরাপত্তা বাড়ানো হয়।