বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল জানান।
আমীর আহমেদ ময়মনসিংহে পরিচিত ছিলেন ‘রতন স্যার’ নামেই। তার বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন তিনি।
বাবুল বলেন, “তিনি ছিলেন মানুষ গড়ার কারিগর। ৭৭ বছরের জীবনের ৫৬ বছর তিনি কাটিয়েছেন শিক্ষকতা করে।”
ময়মনসিংহের ক্রীড়াঙ্গন ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনের সঙ্গেও জড়িয়ে আছেন আমীর আহমেদ চৌধুরী রতনের নাম। সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হয়ে নির্বাচনও করেছিলেন তিনি।
শুক্রবার বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ ঈদগাহ ময়দানে তার জানাজা হবে। পারিবারিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনীতে গ্রামের বাড়িতে তাকে দাফন করা হবে বলে জানান বাবুল।
১৯৫৬ সালে সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক এবং ১৯৫৮ সালে আনন্দ মোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন রতন। ১৯৬০ সালে একই কলেজ থেকে বিএ পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স করেন।
১৯৬৪ সালের আগস্ট মাসে ময়মনসিংহের গৌরীপুর কলেজে অধ্যাপনার মাধ্যমে শুরু হয় তার শিক্ষকতার জীবন। সেখানে তিনি ছিলেন ১৯৮৩ সাল পর্যন্ত।
ওই বছরই সেপ্টেম্বরে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন উচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০১৪ সাল থেকে তিনি স্কুলের রেক্টরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
“তার যোগ্য নেতৃত্ব, দক্ষতা ও পরিশ্রমের ফলেই ময়মনসিংহের মুকুল নিকেতন আজ দেশসেরা বিদ্যালয়গুলোর একটি,” বলেন বর্তমান প্রধান শিক্ষক শামসুল।
যাদের উদ্যোগে ১৯৫৯ সালে ময়মনসিংহে মুকুল ফৌজ গঠিত হয়েছিল, আমীর আহমেদ চৌধুরী রতন তাদেরই একজন।
জেলা ক্রীড়া সংস্থার সিনিয়র সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি ময়মনসিংহ শাখার সাধারণ সম্পাদক, জেলা নাগরিক আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সার্বজনীন বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক, ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি ময়মনসিংহ শাখার আহ্বায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।