ঠাকুরগাঁওয়ে জামাতা হত্যার দায়ে শ্বশুরের মৃত্যুদণ্ড

ঠাকুরগাঁওয়ে নয় বছর আগে জামাতা হত্যার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2020, 10:14 AM
Updated : 15 Oct 2020, 10:14 AM

এ মামলায় স্ত্রী, শাশুড়ি ও শ্যালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। 

বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও অতিরিক্তি জেলা ও দায়রা জজ বিএম তারিকুল কবীর এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত নুরুল হকের (৬০) বাড়ি জেলার সদর উপজেলার রুহিয়া ইউনিয়নের ফরিদপুর গ্রামে।

যবজ্জীবনপ্রাপ্তরা হলেন- নুরুল হকের স্ত্রী মাজেদা বেগম (৫৫), মেয়ে নার্গিস বেগম (৩২) ও ছেলে মাজেদুল হক (৩০)।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ জানান, দণ্ডিতদের মধ্যে মাজেদুল হক পলাতক রয়েছেন।

প্রত্যেক আসামিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয়মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় শাপলা বেগম নামের এক আসামিকে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

মামলার বরাতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুল হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ২০১০ সালে নুরুল হকের বড় মেয়ে সাহেরা খাতুন বাড়িতে খুন হয়। এ ঘটনায় শ্বশুর নুরুল হক বাদী হয়ে তার ছোট জামাই পশিরুল উদ্দীন পশিরসহ তার পরিবারের কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

সে মামলায় পশিরুল ৬ মাস হাজতে থাকার পর আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে বাড়িতে ফিরে আসেন।

পূর্ব বিরোধের জের ধরে ২০১১ সালের ১২ আগস্ট সন্ধ্যায় স্ত্রী নার্গিস বেগম তার স্বামী পশিরুল উদ্দীনকে  (২৮) তার বাড়িতে ডেকে নেয়।

এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘরের খুঁটির সঙ্গে পশিরুলের হাত-পা বেঁধে ফেলে গলা, হাত, পা ধারালো ছুড়ি দিয়ে কেটে তাকে হত্যা করা হয়।

এ ঘটনার পরদিন পশিরুলের বাবা লেদা মোহাম্মদ বাদী হয়ে নুরুলসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।