ঠাকুরগাঁওয়ে দুই শিশুসহ মায়ের লাশ উদ্ধার

ঠাকুরগাঁওয়ের এক পুকুর থেকে ছেলে-মেয়েসহ মায়ের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 Oct 2020, 05:45 AM
Updated : 15 Oct 2020, 07:40 AM

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড় ইউনিয়নের ভরনিয়া শিয়ালডাঙ্গী গ্রাম থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে রাণীশংকৈল থানার ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল জানান।

নিহতরা হলেন- ওই এলাকার আকবর আলীর স্ত্রী আরিফা খাতুন (৩২), তার দুই সন্তান আখলিমা আক্তার আঁখি (১০) ও আরাফাত রহমান (৪)।

আঁখি ভরনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেনীতে পড়ত।

নিহতদের পরিবারের বরাতে ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সকালে আকবর আলীর বাড়ির সামনে একটি পুকুরে তার স্ত্রী ও দুই সন্তানের লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে মাসহ দুই সন্তানের লাশ উদ্ধার করে।”

আরিফার স্বামী আকবর বলেন, “আমার বাবা আমার কাছে কিছু টাকা পেত, এ নিয়ে গতকাল রাতে স্ত্রীর সাথে ঝগড়া হয়। গভীর রাতে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে স্ত্রী ও সন্তানদের দেখতে না পেয়ে বাড়ির বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করি।

“বাড়িতে না পেয়ে সকালে ভরনিয়া পূর্বপাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে খোঁজ নেই। কিন্তু সেখানেও না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে বাড়ির সামনে পুকুরে তাদের লাশ দেখতে পাইভ“

১৩ বছর আগে আকবরের সঙ্গে মেয়ে আরিফার বিয়ে হয় জানিয়ে বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, “স্থানীয়দের মাধ্যমে প্রায় সময় শুনতাম মেয়ে ও জামাইয়ের মাঝে ঝগড়া হত। মাঝে মধ্যে টাকার জন্য জামাই আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করত।”

ধর্মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মাইনুদ্দিন জানান, আরিফার স্বামী এলাকার জিনিসপত্র ফেরি করে সংসার চালাত; তাদের অভাবের সংসার ছিল। আর এই অভাব নিয়েই তাদের সংসার ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকত।

রানীশংকৈল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তোফাজ্জল হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মৃতদের নাক ও মুখে দিয়ে ফেনা দেখা গেছে; এটি বিষক্রিয়ার কারণেও হতে পারে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

তিনি বলেন, ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান রাণীশংকৈল থানার ওসি এসএম জাহিদ ইকবাল।