ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিন জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন বলে মহেশখালী থানার ওসি মো. আব্দুল হাই জানান।
রোববার রাতে উপজেলার বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গপাড়ায় এ ঘটনায় গ্রেপ্তার মো. এবায়দুল্লাহ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের গুলগুলিয়া পাড়ার মোহাম্মদ আলী ওরফে নবাব মিস্ত্রিীর ছেলে।
স্থানীয়দের বরাতে ওসি বলেন, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের দেবাঙ্গপাড়ার ওই কিশোরীর সঙ্গে নুরুলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত ১১ অক্টোবর রাতে ওই কিশোরীকে মোবাইলে ফোন করে দিয়ে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যান নুরুল।
“পরে ওই কিশোরী ঘটনাস্থলে গেলে নুরুলের সঙ্গে খায়রুল আমিন ও মোহাম্মদ এবায়দুল্লাহ নামের আরও ২ যুবককে দেখতে পায়। এক পর্যায়ে তারা তিন বন্ধু ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে ওই কিশোরী বাড়ি ফিরে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। ”
এদিকে ঘটনার পরদিন রাত থেকে জড়িতরা ভিডিও ধারণের তথ্য জানিয়ে ওই কিশোরীর পরিবারের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে আসছিল বলে জানান বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় ইউপি সদস্য এরফান উল্লাহ।
এরফান বলেন, তিনিসহ (স্থানীয় ইউপি সদস্য) স্থানীয়রা ওই কিশোরীর পরিবারকে পরামর্শ দেন ঘটনায় জড়িতদের টাকা নিতে আসার জন্য। এর প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর রাতে দেবাঙ্গপাড়া সংলগ্ন স্থানীয় এক বিলে টাকা নিতে আসে তিনজন।
“এ সময় টাকা নিতে নিতে আসলে স্থানীয়দের ফাঁদে পড়ে ঘটনায় জড়িতরা। এ সময় মোহাম্মদ এবায়দুল্লাহ ও খায়রুল আমিন নামের দুই যুবককে আটক করা করা হয়। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি আশরাফুল ইসলাম রাশেল জোর খাটিয়ে খালাত ভাই দাবি করে খায়রুল ইসলামকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়।”
পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এবায়দুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায় বলে জানান ইউপি সদস্য।
ওসি বলেন, গ্রেপ্তার যুবক মহেশখালীর জেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলী আকবরের আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। আর ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।