বিরুলিয়ায় এলাকায় মঙ্গলবার রাতে মেহেদী হাসান নামে ওই শিশুটির লাশ একটি স্কুল ব্যাগের ভেতর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
সাভার মডেল থানার বিরুলিয়া ফাঁড়ির এসআই অপূর্ব দত্ত জানান, অপহরণ ও হত্যাকাণ্ডের এ ঘটনায় জসিম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, জসিমের (৩০) দেওয়া তথ্যে গভীর রাতে বিরুলিয়ার কাকাব এলাকার একটি ঝোপের ভিতর অভিযান চালিয়ে মেহেদীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মেহেদী বাবা গোলাম কবীর ও মা পারুল বেগমের সঙ্গে ওই এলাকার আব্দুল করিমের বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে থাকত।
গোলাম কবীর বলেন, “সোমবার সকালে মেহেদীকে বাসায় রেখে তারা কর্মস্থলে চলে যান। পরে কর্মস্থল থেকে এসে মেহেদীকে না পেয়ে নানা জায়গায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
“মঙ্গলবার সকালে প্রতিবেশীরা জানান যে, জসিমকে স্কুলব্যাগ নিয়ে যেতে দেখেছেন তারা। এরপর সন্ধ্যা ৭টার দিকে একটি মোবাইল ফোন থেকে মেহেদীকে অপহরণের কথা জানিয়ে ১৫ হাজার টাকা বিকাশে পাঠাতে বলা হয়।”
এসআই বলেন, এরপর মেহেদীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সাভার থানাকে অবহিত করা হয়। ওই দিন রাত ১১টার দিকে পাশের খাগাইন এলাকা থেকে জসিমকে আটক করে এলাকাবাসী। কিন্তু তিনি মেহেদীকে হত্যার কথা অস্বীকার করে ; পরে তাঁকে পুলিশে দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, জসিমকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকার করেছে ও তার দেওয়া তথ্যমতে শিশু মেহেদীর মরদেহ ঝোপের ভিতরে স্কুলব্যাগ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
“ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটিকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার পর ব্যাগে ভরে ঝোপের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।”
এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।