সুনামগঞ্জে ১৪ শিশু অপরাধীকে বাবা-মায়ের জিম্মায় সংশোধনের রায়

সুনামগঞ্জে শিশু অপরাধের ১০টি মামলায় রায়ে ১৪ জন শিশুকে সংশোধনের শর্তে তাদের অভিবাবকের জিম্মায় দিয়েছে আদালত।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2020, 07:58 AM
Updated : 14 Oct 2020, 08:20 AM

বুধবার দুপুরে সুনামগঞ্জ নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ও শিশু আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন এ রায় দেন।

রায়ে এই শিশুদেরকে আটটি শর্ত মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর এসব কর্মকাণ্ড তদারকি করবেন সমাজ সেবা কার্যালয়ের প্রভেশন কর্মকর্তা শাহ মো.শফিউর রহমান।

এ শিশুদের যে সব অভিযোগ আনা হয় সেগুলো হচ্ছে, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে টাকা গ্রহণ, কারসাজির মাধ্যমে বিকৃতি করে মানহানিকর ছবি ফেইসবুকে ছড়ানো, পুলিশকে গ্রেপ্তারে বাধা দান ও আসামিকে পালাতে সহায়তা করা, শ্লীলতাহানি, দলবেঁধে মারধর, মাদক রাখা, জুয়া খেলা।

আদালতের রায়ে বলা হয়, সংশোধনের সুযোগ পাওয়া শিশুর আটটি শর্ত মেনে চলতে হবে।

শতগুলো হল, প্রত্যেককে তার বাবা-মায়ের আদেশ মেনে চলতে হবে, বাবা-মায়ের সেবা করতে হবে, প্রতিদিন স্বধর্মের অনুশাসন মেনে চলতে হবে, নিয়মিত ধর্মগ্রন্থ পাঠ করতে হবে, প্রত্যেকে কমপক্ষে ২০টি করে গাছ লাগিয়ে পরিচর্যা করবে, খারাপ সঙ্গত্যাগ করতে হবে, মাদক থেকে দূরে থাকবে এবং ভবিষ্যতে কোনো অপরাধের সাথে জড়াবে না।

এই সব শর্ত সুযোগ পাওয়া শিশুরা পালন করছেন কিনা তা দেখভালো করবেন, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রভেশন কর্মকর্তা শাহ মো.শফিউর রহমান।

শর্ত না মানলে তার রিপোর্টের ভিত্তিতে পুনরায় আটক করে টঙ্গি কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হবে এই শিশুদের বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের প্রভেশন কমকতা শাহ মো. সফিউর রহমান বলেন, আমরা এক বছর তাদেরকে তদারকি করব। প্রতিদিন কী কী কাজ করছে তাদেরকে একটি ডায়রি লিখতে হবে।

“তারা যদি শর্ত মানতে না পারে, তাহলে পুনরায় তাদেরকে আটক করে টঙ্গী কিশোর সংশোধনালয়ে পাঠানো হবে।”

এক মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী রুহুল তুহিন বলেন, “আজকে একটি ঐতিহাসিক রায় দিয়েছে আদালত। আমরা মামলার রায়ে সন্তুষ্ট। এ রায়ের ফলে অনেক শিশু অপরাধ থেকে দূরে থাকবে।

সুনামগঞ্জ নারী ও শিশু নিযাতন দমন ট্র্যাইব্যুনালের সরকারি সরকারি কৌঁসুলি নান্টু রায় বলেন, আসামিরা রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিল, এ ধরণের রায় সমাজে অপরাধ কমাবে বলে আমরা মনে করি।