ব্যবসায়ীকে ‘অপহরণ’: ফেনীতে এক এসআইকে প্রত্যাহার

ফেনীতে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সম্পত্তি লিখে নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ছাগলনাইয়া এএসপি সার্কেলের উপ-পরিদর্শক আলমগীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ফেনী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Oct 2020, 04:51 AM
Updated : 14 Oct 2020, 04:51 AM

বিষয়টি নিশ্চিত করে মঙ্গলবার রাতে ছাগলনাইয়া সার্কেলের এএসপি নিশান চাকমা জানিয়েছেন, গত ১৩ সেপ্টেম্বর এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে পুলিশ হেডকোয়াটার ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নজরুল ইসলাম নামে এক ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ করেন।

“অপহরণ সংক্রান্ত এক ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এসআই আলমগীরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। সঠিক তদন্তের স্বার্থে আলমগীরকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। ”

এ অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো প্রমাণপত্র ছাড়া আরিফিন আজাদ বাদল নামে এক ব্যবসায়ী,  বেশ কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলে নজরুলের কাছে মোটা অংকের টাকা দাবি করেন।

এক পর্যায়ে গত ১৭ জুন চক্রটি তার বাড়িতে ঢুকে পরিবারের সবাইকে জিম্মি করে ঘরে থাকা ব্যবসায়িক, জমি, ফ্ল্যাটের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, স্বর্ণালঙ্কার, টিভি, ফ্রিজসহ মূল্যবান জিনিসপত্র জোরপূর্বক গাড়িতে করে নিয়ে যায়।

পরে অস্ত্র ও মাদকের মামলার ভয় দেখিয়ে গত ১৮ জুন ভোরে তাকে বাড়ি থেকে প্রাইভেটকারে করে তুলে নিয়ে যায়।

অপহরণকারীরা তাকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে নিয়ে ছাগলনাইয়া থানায় কর্মরত এসআই আলমগীর তার একটি আবাসিক এলাকার সাড়ে ছয় কাঠার জমিটি লিখে নেন এবং ব্যবসায়িক লাইসেন্স হস্তান্তরনামাসহ ৮/১০টি ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর দিতে চাপ দেন।

সেখানে আরও অজ্ঞাত ১৫-২০ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে কৌশলে এসআই ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।

পরে এসআই আলমগীর মোবাইল ফোনে অভিযোগকারীকে জানিয়েছেন, লাইসেন্সসহ জমি লিখে নেওয়ার চুক্তি থাকলেও ব্ল্যাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেওয়ার বিষয়টি তিনি আগে জানতেন না।

ব্যবসায়ী নজরুলের এমন অভিযোগ নিয়ে জেলা পুলিশ তদন্তে নামে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত চলছে বলে জানায় পুলিশ।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন জানান, জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের এক নোটিশে তাকে প্রত্যাহার করে রাতে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।