সোমবার দুই আসামির উপস্থিতিতে সাড়ে সাত বছর আগের এই মামলার রায় দেন বরিশালের জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কেএম শহীদ আহমেদ।
দণ্ডিতরা হলেন মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার কাজীরহাট থানার রতনপুর গ্রামের কনা বেগম, তার দুই পরকিয়া প্রেমিক রুহুল আমিন নলি ও শাহীন নলি। এদের মধ্যে শাহীন নলি পলাতক রয়েছেন।
মামলার বরাতে আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী লষ্কর নূরুল হক বলেন, কনা বেগমের স্বামী লকিতুল্লাহ দুয়ারি চট্টগ্রাম নগরীর চাকতাইয়ে মজুরের কাজ করতেন। তার অবর্তমানে শাহীন নলি ও রুহুল আমিন নলির সঙ্গে কনা বেগমের অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
“২০১৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাদের সঙ্গে মায়ের ঘনিষ্ঠতা দেখে ফেলে কনা বেগমের ছেলে কাজীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র রনি। তখন সে এই ঘটনা বাবাকে জানানোর কথা বললে দুই প্রেমিক ও কনা শিশু রনিকে গলাটিপে হত্যা করেন।”
আইনজীবী লষ্কর নূরুল হক বলেন, ঘটনার পর রনিকে সাপে কেটেছে বলে প্রচার চালিয়ে তড়িঘড়ি করে লাশ দাফনের চেষ্টা করা হলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। পরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত করা হয়্।
এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ২২ ফেব্রুয়ারি কাজীরহাট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন রনির বাবা লতিকুল্লাহ দুয়ারি।
নূরুল হক বলেন, ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ রুহুল আমিন নলিকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে মাসহ তিন জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই নজরুল ইসলাম।
২৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত এ রায় দেয়।