একই সঙ্গে আরও তিন পুলিশ সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করা হয় বলে সোমবার মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) জ্যোর্তিময় সরকার জানান।
সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর হোসেন ভুইয়া, কনস্টেবল হারুনুর রশিদ, তৌহিদ মিয়া ও টিটু চন্দ্র দাস।
প্রত্যাহার হওয়া সদস্যরা হলেন এএসআই আশেক এলাহী, এএসআই কুতুব আলী ও কনস্টেবল সজিব হোসেন।
পুলিশ জানায়, গত রোববার সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রায়হান উদ্দিন (৩৪) নামের এক যুবককে গুরুতর আহত অবস্থায় ভর্তি করেন বন্দরবাজার ফাঁড়ির এএসআই আশেক এলাহী। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭টা ৫০ মিনিটে রায়হান হাসপাতালে মারা যান।
রায়হান উদ্দিন সিলেট নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার প্রয়াত রফিকুল ইসলামের ছেলে। তার তিন মাসের এক মেয়ে রয়েছে। নগরীর রিকাবিবাজার স্টেডিয়াম মার্কেটে এক চিকিৎসকের চেম্বারে কাজ করতেন তিনি।
সিলেট কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সৌমেন মৈত্র জানান, এই ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে রোববার রাতে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় তার স্বামীকে বন্দরবাজার ফাঁড়িতে আটকে রেখে ১০ হাজার টাকা দাবি এবং দাবিকৃত টাকা না পেয়ে নির্যাতন করে মেরে ফেলার অভিযোগ করা হয় বলে সৌমেন জানান।
নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন এবং হাতের নখ উপড়ানো ছিল বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
তবে রায়হান ছিনতাইকারী ছিলেন বলে মৃত্যুর পর পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়।
বরখাস্ত এসআই আবকর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, নগরীর কাস্টঘর এলাকায় ছিনতাই করতে গিয়ে গণপিটুনিতে তার মৃত্যু হয়েছে।