ঘটনার সাড়ে চার বছরের বেশি সময় পর সোমবার জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক মো. রুস্তম আলী এই রায় ঘোষণা করেন।
হত্যার দায়ে দণ্ডিতদের মৃত্যুদণ্ড এবং অপহরণের দায়ে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ডিতরা হলেন পাঁচবিবির রশিদপুর মোলান গ্রামের নিরেন্দ্রনাথ সরকারের ছেলে উত্তম কুমার সরকার (২৯), শুকনা চন্দ্র বর্মনের ছেলে বীরেন চন্দ্র বর্মন ওরফে বীরেশ চন্দ্র বর্মন (৩৮), প্রয়াত শশধর সরকারের ছেলে সন্তেষ কুমার সরকার ওরফে টেপলু (২৮), বিনধারা গ্রামের প্রয়াত মমতাজ উদ্দিনের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে রাব্বু (৩৮) ও আব্দুল ওহাব মন্ডলের ছেলে ওবাইদুল ইসলাম (২৫)।
এদের মধ্যে ১ নম্বর আসামি ছাড়া বাকি সবাই জেলহাজতে রয়েছেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২২ ডিসেম্বর দুপুরে রশিদপুর মোলান গ্রামের পরেশ চন্দ্রের আড়াই বছরের মেয়ে আরাধা রানী বাড়ির পাশে খেলা করছিল। সেখান থেকে আসামিরা শিশুটিকে অপহরণ করেন এবং মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণ না পেয়ে আসামিরা মিশুটিকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ রশিদপুর মোলান বাজারের পাশে একটি পুকুর পাড়ে ঝোপের মধ্যে ফেলে পালিয়ে যান।
তিনদিন পর (২৫ ডিসেম্বর) পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। পরে জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
জয়পুরহাট আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, এ ব্যাপারে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে ২২ ডিসেম্বর পাঁচবিবি থানায় অপহরণ মামলা করেন, যা পরবর্তীতে অপহরণ ও হত্যা মামলায় পরিণত হয়।
তদন্ত শেষে পুলিশ ওই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।