শুক্রবার বিকালে এই ছাত্রী আশাশুনি থানায় এই ছাত্রলীগ নেতাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা দিলেও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
আসামিরা হলেন উপজেলার খাজরা ইউনিয়নের এক ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি সাকিব বিল্লাহ ও তার সহযোগী রায়হান খোকা, আল আমিন, শুভ, মামুন ও মজনু।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, শুক্রবার বিকালে চাচার সঙ্গে এই কলেজছাত্রী বাসায় ফেরার সময় সাকিবসহ কয়েকজন যুবক তাদের গতিরোধ করেন। চাকু বের করে সবাই মিলে ‘আপত্তিকরভাবে শরীরে হাত দিয়ে’ ধস্তাধস্তি করেন, টেনে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেন এবং বিয়ে করার প্রস্তাব দেন।
সেখান থেকে কোনোরকমে ছুটে বের হয়ে সরাসরি আশাশুনি থানায় গিয়ে এজাহার দিয়েছেন বলে এই শিক্ষার্থী জানান।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। মেয়েদের সাথে এ ধরনের ঘটনা সেখানে নিত্য নৈমত্তিক। কেউ ওদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না।”
আশাশুনি থানার ওসি গোলাম কবির বলেন, “ওই তরুণী একটি এজাহার দিয়েছেন। আমরা যাচাই-বাছাই করছি। অভিযোগ সঠিক হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
আশাশুনি উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আসমাউল হক বলেন, “অভিযোগ সঠিক হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”