মায়ের পরের স্বামীর ‘ধর্ষণের’ শিকার কিশোরী

টাঙ্গাইলে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার মায়ের পরের স্বামীর বিরুদ্ধে।

টাঙ্গাইল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2020, 07:28 PM
Updated : 9 Oct 2020, 07:28 PM

এই অভিযোগে বৃহস্পতিবার ১৩ বছর বয়সী এই মেয়েটির মা বাদী হয়ে ঘাটাইল থানায় মামলা করেছেন।

মামলায় হবিবুর রহমান (৫৫) নামের ওই ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ঘাটাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ছাইফুল ইসলাম।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ওই নারীর দ্বিতীয় স্বামী হবিবুর। বিয়ের পর ঘরজামাই হিসেবে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার দিগর ইউনিয়নে থাকেন হবিবুর। সম্প্রতি বাড়িতে বন্যার পানি ওঠায় মেয়েকে নিয়ে স্বামীর সঙ্গে পাশের এলাকায় আধাপাকা টিনের ঘরে ভাড়া থাকেন এই নারী।

“গত ৬ অক্টোবর রাতের খাবার শেষে তারা ঘুমাতে যান। মেয়ে খাটে ঘুমায় এবং তারা দুজন ঘরের মেঝেতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাতে হবিবুর মেয়েকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে।”

পরে মেয়ের কান্নার শব্দে মায়ের ঘুম ভাঙলে স্বামীকে পালিয়ে যেতে দেখেন।

ওই কিশোরী সাংবাদিকদের বলে, স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সে। মাঝে মাঝে তার মায়ের আগের স্বামী হবিবুর রহমান তাকে কুপ্রস্তাব দিত। বিষয়টি মাকে জানালেও মা কিছু করতে পারেননি।

কিশোরীর মা বলেন, “মেয়ের বিষয়টি নিয়ে যখনই স্বামীর সঙ্গে কথা বলতে চেষ্টা করেছি তখনই আমার ওপর চলতো অমানবিক নির্যাতন। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ জোগাই। ওই লোকটা কোনো টাকা পয়সাও দেয় না।”

কিশোরীর প্রতিবেশী এক নারী বলেন, “ছোট বাচ্চারাও এখন ওই লোকটার কথা শুনে ভয় পাচ্ছে। এমন জঘন্য কাজের জন্য তার ফাঁসি হওয়া দরকার।”

স্থানীয় ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “এলাকাবাসীর মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরে ওই মেয়ের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। পরে ওইদিন রাতেই আমি ৯৯৯ নম্বরে কল দেই; তখন তারা বিষয়টি নিয়ে থানায় যোগাযোগ করতে বলে। রাতেই ওর মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় যাই এবং মামলার কাজে সাহায্য করি।”

ঘাটাইল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ছাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। আসামি গ্রেপ্তারে জোর চেষ্টা চালছে।