২০১৮ সালের একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপির সমর্থন নিয়ে বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাহজাহাপুর) আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়া বাবলু তার হাতে থাকা অস্ত্রটি বৈধ বলে জানিয়েছেন।
এই ছবি ফেইসবুকে যাওয়ার জন্য রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন তিনি।
তবে উত্তরাঞ্চলের একজন টেলিভিশন সাংবাদিক বলছেন, এই সংসদ সদস্য নিজেই ছবিটি ফেইসবুকে দিয়েছিলেন। বিষয়টি তিনি ফেইসবুকে তুলে ধরার পর সংসদ সদস্য তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ছবিটি সরিয়ে নেন।
এটিএন নিউজের উত্তরাঞ্চল ব্যুরো প্রধান চপল সাহা এক ফেইসবুক পোস্টে এই ছবি তুলে ধরে লেখেন, “একজন সংসদ সদস্য তার কেনা অস্ত্র প্রদর্শন কতটুকু শোভনীয়? সংসদ সদস্যের জানা উচিত অস্ত্র প্রদর্শন অপরাধ।”
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য রেজাউল করিম বাবলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এক শ্রেণির মানুষ আমার পেছনে লেগেছে। বৈধ অস্ত্র কিনতে দোকানে গিয়েছিলাম। অস্ত্র তো দেখেই কিনব।
“আমি অস্ত্র দেখার সময় ওই সব লোকদের কেউ ছবি তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিয়ে আমাকে হেয় করার চেষ্টা করেছে।”
তার এই বক্তব্যের জবাবে সাংবাদিক চপল সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমি ওই ছবিটা রেজাউল করিম বাবলুর ফেইসবুক ওয়াল থেকে পেয়েছি। আমার কাছে বিষয়টি অন্যায় মনে হয়েছে। আইন প্রণেতা সংসদ সদস্যের এমন ছবি পোস্ট উচিত কি না। তাই বিবেকের তাড়নায় দিয়েছি। কারও প্রতি বিদ্বেষ নিয়ে নয়।”
পোস্টটি এখন ফেইসবুক থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে জানিয়ে চপল সাহা বলেন, এর আগে তিনি স্ক্রিন শট নিয়ে রেখেছেন।
সংসদ সদস্যের হাতে আগ্নেয়াস্ত্রের ছবি নিয়ে বগুড়া শহরে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
‘এটা যে শোভন নয়, তা বোঝেন না’ বলেই এই সাংসদ এমনটি করেছেন বলে মনে করেন বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার এ বি বারিক।
শহরের সূত্রপুর এলাকার হান্নান বলেন, “পোস্টটা আমরা দেখেছি। এটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।”
ওই নির্বাচনী এলাকার গাবতলীর আলমগীর হোসেনও এই ঘটনায় সাংসদের সমালোচনা করেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিলেন রেজাউল করিম বাবলু। তখন এই আসনে বিএনপির প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হয়; নির্বাচনের একদিন আগে বিএনপির সমর্থন পান রেজাউল করিম বাবলু। নির্বাচনে তিনি এক লাখ ২৯৯ ভোট পেয়ে বগুড়া শাজাহানপুর এবং গাবতলী উপজেলার সংসদ নির্বাচিত হন।