বিবস্ত্র করে নির্যাতন: দুই মামলার তদন্তে পিবিআই

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের অভিযোগের দুটি মামলার তদন্তভার পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-পিবিআইকে দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 Oct 2020, 06:35 PM
Updated : 9 Oct 2020, 07:01 PM

জেলার পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, পুলিশ সদরদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী শুক্রবার বিকালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের দুটি মামলা পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়।

পিবিআই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করেছে পরিদর্শক মামুনুর রশিদ পাটোয়ারীকে। এছাড়া পর্নগ্রাফি আইনে দায়ের করা মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা করা হয় পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানকে।

পিবিআই নোয়াখালীর ইন্সেপেক্টর সুভাষ চন্দ্র পালের নেতৃত্বে একটি দল শুক্রবার সকালে একলাশপুর ইউনিয়নের জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের নির্যাতনের শিকার ওই নারীকে নিয়ে তার বাড়ি পরিদর্শনে যায়।

এ সময় মামলার তদন্তকারী দুই কর্মকর্তা ছাড়াও পিবিআই চট্টগ্রামের ফারুক আহমেদ এবং মামলা দুটির সাবেক তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ মডেল থানার এসআই মোস্তাক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন। 

ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে বাড়িটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের ৩৫ বছর বয়সী এক গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে একদল যুবক তাকে বিবস্ত্র করে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালায় এবং তার ভিডিও ধারণ করে। একমাস পর ৪ অক্টোবর ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

এই ঘটনায় ওই নারী রোববার রাতে নয়জনের নাম উল্লেখ করে বেগমগঞ্জ থানায় পর্নোগ্রাফি আইন এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দুটি মামলা করেছেন।

আসামিরা হলেন- বাদল, মো. রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমত উল্যা। তাদের সবার বাড়ি বেগমগঞ্জে।

আরও দুই আসামির স্বীকারোক্তি

এই ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের করা দুই মামলার দুই আসামি সোহাগ ও রাসেলিআদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

জেলা জজ আদালতের পিপি গুলজার আহমেদ জুয়েল জানান, ছয় দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার বিকালে সোহাগ ও রাসেলকে জেলার ২ নম্বর আমলী আদালতে তোলা হয়।

“পরে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম এস এম মোসলেহ উদ্দিন মিজান ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করেন।”

পিপি জুয়েল জানান, সন্ধ্যায় আসামিদের জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। মামলার এজাহারে নাম না থাকলেও তদন্তে এই দুই আসামির নাম উঠে আসায় তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর আগে বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও পর্নগ্রাফি আইনে দাযের করা মামলার ২ নম্বর আসামি আবদুর রহিম এবং ইউপি সদস্য মোজাম্মেল হোসেন সোহাগ রিমান্ড শেষে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

একই দিন এ দুই মামলার ২ নম্বর আসামি আবুল কালামের ছয় দিন এবং পর্নগ্রাফি মামলায় মাঈনুদ্দিন সাহেদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত।