শুক্রবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বেড়তলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহিজ উদ্দিন জানান।
এর আগে এই ঘটনায় গত মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) শামীম মিয়াকে প্রধান আসামি করে অপহরণ, নির্যাতন ও মারধরের মামলা দায়ের করেন ওই তরুণী।
গ্রেপ্তার শামীম মিয়া (৩৬) সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার পাইলগাঁও ইউনিয়নের গোতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা।
এই মামলায় এর আগে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছিল জগন্নাথপুর থানা পুলিশ।
জগন্নাথপুর থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দির চৌধুরী বলেন, মামলায় স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীর অভিযোগ- গত সোমবার (৫ অক্টোবর) গোতগাঁও গ্রামের শামীম মিয়াসহ কয়েকজন যুবক তাকে অপহরণ করে হবিগঞ্জের নকীগঞ্জ উপজেলায় নিয়ে যান।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার বৃদ্ধ বাবা তার খোঁজ না পেয়ে ওইদিন রাতে শামীম মিয়ার কাছে তার (মামলার বাদীনি) খোঁজ জানতে চান।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শামীম ও তার লোকজন তার বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।
ইখতিয়ার উদ্দির চৌধুরী বলেন, বৃদ্ধকে মারপিটের ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। পরদিন (৬ অক্টোবর) সকালে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন আরও বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সড়াইল উপজেলার বেড়তলা থেকে শুক্রবার শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে জগন্নাথপুর থানা পুলিশ ও সুনামগঞ্জ জেলা ডিবির একটি দল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্ত দিয়ে শামীম ভারতে পালানোর চেষ্টা করছিলেন বলেও জানান ওসি ইখতিয়ার।