শুক্রবার দুপুর থেকে বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদী পৌঁছানো শুরু হয়েছে বলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার তোফায়েল আহমেদ জানান।
তিনি জানান, শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে ভোটগ্রহণ হবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
তোফায়েল আহমেদ জানান, পৌরসভার ১৫টি ওয়ার্ডের ৫২টি কেন্দ্রে ৩০৫টি বুথে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হবে। সকাল ৯টা থেকে শুরু করে বিকাল ৫টা পর্যন্ত একটানা ভোটগ্রহণ হবে। নির্বাচনে মোট ভোটার রয়েছে ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৮৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৫৮ হাজার ১৪৪জন এবং মহিলা ভোটার রয়েছে ৫৮ হাজার ৩৪৩ জন।
এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৫০ জন এবং মহিলা কাউন্সিলর পদে ১৪ জনসহ মোট ৬৭ জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন।
নির্বাচন কর্মকর্তা বলেন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ, এপিবিএন, ব্যাটেলিয়ান আনসারের সমন্বয়ে তিনটি মোবাইল ফোর্স, একটি স্ট্রাইকিং ফোর্স, র্যাবের ছয়টি মোবাইল টিম ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের দুই প্লাটুন সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তাছাড়া ১৫টি ওয়ার্ডে জেলা প্রশাসনের ১৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন বলেও তিনি জানান।
মেয়াদ শেষে ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী গত ২৯ মার্চ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল; কিন্তু গত ১৩ মার্চ বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. শফিকুর রহমান ভূঁইয়ার মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন। পরবর্তীতে গত ৩ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন নতুন তফসিল ঘোষণা করে। সেই ঘোষণা অনুযায়ী শনিবার (১০ অক্টোবর) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে।
এর আগে সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৯ মার্চ চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১২৩ জন প্রার্থী। এর মধ্যে মেয়র পদে ২ জন, সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৯৪ জন এবং সংরক্ষিত ৫টি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে ২৭ জন। নির্বাচনে মোবাইল প্রতীক নিয়ে নাছির উদ্দিন আহমেদ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ১০৮ ভোট। পানির জগ প্রতীক নিয়ে অপর প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক পৌর চেয়ারম্যান সফিকুর রহমান ভূঁইয়া পেয়েছিলেন ১৬ হাজার ৯৭ ভোট।